” চাচাতো বোনকে মারধরের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন আল-আমিন ”
রংপুর গংগাচড়া উপজেলার গংগাচড়া সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সিল্লানীর বাজারের বাসিন্দা মোঃ আল-আমিন মিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন আলআমিন ও তার পরিবার । গত ৩০আগষ্ট শনিবার আল-আমিনের চাচাতো বোন রেজিয়া বেগমকে(৫৫) কে বা কাহারা এসে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে রেজিয়া বেগম কে জিজ্ঞাসাবাদ তিনি বলেন, বাড়ি থেকে বাদ মাগরিবের পর বাসা থেকে বের হয়ে একই গ্রামে ৫০০ মিটার দূরে মেয়ের বাসার দিকে রওনা হলে রাস্তার মাঝপথে আমার মাথায় গুরুতর যখম করা হয়। সেখানে আমি চিৎকার করলে পাড়া প্রতিবেশী মোঃ লাভলী বেগম ও বিউটি বেগম এবং তার ভাতিজা সাইয়াদুল আমাকে নিয়ে পাশ্ববর্তী বাড়িতে মাথায় পানি দেয়। পরে আমাকে পাশ্ববর্তী ছিল্লানির বাজারে পল্লী চিকিৎসক বকুল মিয়ার কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখান চিকিৎসক বকুল মিয়া রোগীর অবস্থা গুরুতর মনে করলে তখন গংগাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু অবস্থার পরিণতি খারাপ হওয়ায় গংগাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়া হয়৷ তিনি আরো বলেন, অন্ধকার হওয়ায় আমি কাউকে দেখতে পাই না।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে থাকা শামসুন্নাহার ও আলবেদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলেন, লাইট ধরার সাথে সাথে দেখি একটা লোক সাদা টি শার্ট ও প্যান পড়া লোক রাতের আধারে দেওয়াল টপকে দৌড়ে পালাচ্ছে।লোকটি ভালো করে দেখতে না পাওয়ায় চিনতে পারিনি। ঐই মুহুত্বে তারা আহত রেজিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, কে বা কারা আমার হাত ধরে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ছিল্লানি বাজারের পল্লী চিকিৎসক মোঃ বকুল মিয়া কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন রোগি আসার পর রোগীর জ্ঞান ছিলো তখন রোগিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কে যে আমায় মারছে আমি জানি না। এবং সেখানে থাকা দর্জি মশিউর রহমান সহ অনেকে বলেন,ওনাকে ভালো করে জিজ্ঞাসা করছি ওনি নিজেই তখন বলছে কে বা কারা মারছে জানে না।
তদন্ত সাপেক্ষে আহত রেজিয়া বেগমকে কয়েকবার জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার চাচতো ভাই আল-আমিন আমাকে মারছে। আমি দেখেছি। কিন্তু ঘটনাস্থলে থাকা আশপাশের লোকজনের তথ্য সাপেক্ষে সে সময় আহত রেজিয়াকে এলাকাবাসী বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করলে কে মারছে এ ব্যাপারে কিছু বলেনি।
এব্যাপারে বিবাদী আসামি আল-আমিন মিয়া কে জিজ্ঞাসবাদ করলে তিনি বলেন,আমার চাচাতো বোন রেজিয়া, আমাদের ভাই বোনের সম্পর্ক।তবে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিয়ের ব্যাপারে তার সাথে আমার দ্বন্দ্ব থাকলে ও আমি কখন আমার বোনের ক্ষতি চাইনি। ঘটনার দিন আমার ভাতিজার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাই। তারপর অটো করে বাড়িতে আসি। অটো থেকে নেমে ভাতিজা বউদেরকে কনের ছবি দেখাচ্ছিলাম। সেখানে সবাই ছিলো, ইতিমধ্যে বোনের বাসা থেকে ২জন শায়ে ভাবি ও শিমু ভাবি এসে বলছে রেজিয়াকে কে যেন যখম করছে আর বলছে হুজুর শফিকুল ইসলাম কোথায় । তখন আমি তাকে বললাম হুজুর মসজিদে নামাজ পড়া দেখলাম। কই যে গেল। তারপর ওখান থেকে আমার ভাতিজা রানা এসে বললো, রেজিয়াকে মাথায় আঘাত করছে অনেক রক্ত বের হচ্ছে তাকে মেডিকেল নিয়ে গেছে।তখন আমি আর কোথাও না গিয়ে বাসায় ছিলাম। পরে আর কি হয়েছে আমি জানি না।বিবাদী আল আমিন মিয়া বলেন,আমি চাই এটার সুষ্ঠ তদন্ত হোক এবং আমাকে যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তা তদন্ত সাপেক্ষে মূল আসামিকে বের যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে গংগাচড়া মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর জনক রায় মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, থানায় বাদীপক্ষ আহত রেজিয়া মামলা দায়ের করছে, আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।