নরসিংদী বেলাব তে সন্ত্রাসী হামলা বাড়িঘর ভাঙচুর দোকানপাট ভাঙচুর আহত ৩
নরসিংদী বেলাব, থানায় হাজির হয়ে আসামীগনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শ্রাবণী আক্তার এজাহারে প্রকাশ মোঃ আহসান হাবিব বিপ্লব ,আখতারুজ্জামান ,,দুর্জয় (২৪) পিতা মোঃ পল্লব মিয়া, সাং-বেলাব টেকপাড়া, ( হাবিব (৪০), পিতা- মৃত মোঃ গফুর মিয়া,
সাং-বেলাব মাটিয়াল পাড়া, বিপ্লব মিয়া (৪২), মোঃ তাহের মিয়া, রানা (২০) পিতা হাবিব মিয়া, বিজয় (২২),
পিতা- মোঃ আক্তারুজ্জামান, জয় (২৪), পিতামৃত- আনিছ, রাজিব মিয়া, (৩৮) পিতা- সাফিউদ্দিন, রইস মিয়া
(৫০), পিতা-মৃত আজিজ মিস্ত্রী, সর্বসাং-বেলাব মাটিয়াল পাড়া মোরসালিন (৩৮), পিতা- চান্দু মিয়া, আক্তার
(৩২), পিতা-সুরুজ মিয়া, , রায়হান (২২), পিতা- টিটু মিয়া, সর্বসাং-বেলাব টেক পাড়া, মিজান (২৭), পিতা-
আনোয়ার আলী, সাং-নন্দরামপুর, ডাকঘর-ধলিরপাড়, ফরহাদ (৪৫), পিতা-সৈয়দ আলী, সাং-বেলাব মাটিয়াল পাড়া,
ডাকঘর-বেলাব, সর্বথানা-বেলাব, সর্বজেলা-নরসিংদীসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন, গত ২৪/০৮/২০২৪ ইং তারিখ রোজ শনিবার বিকাল আনুমানিক ৩.১৫ ঘটিকায় বেলাব থানাধীন বেলাব বাজারস্থ
আহনাফ ক্যাফে এন্ড রেষ্টুরেন্টে মোঃ লুৎফর রহমান (৩৭), তার নিজ মালিকানাধীন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকাবস্থায়
আসামীগন পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে ১নং ও ২নং আসামীর নেতৃত্বে লুৎফর রহমানকে হত্যার উদ্দ্যেশে
বেআইনী জনতাবদ্ধে দা, লাঠি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, হাতুরি, শাবল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার
স্বামীর রেষ্টুরেন্টে অবৈধ অনুপ্রবেশ করিয়া ১ও ২নং আসামীর নির্দেশে অতর্কিত ভাবে হামলা করে অভিযোগকারী আমার স্বামীকে হত্যার
উদ্দ্যেশে ৩নং আসামী তাহার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়া আমার স্বামী লুৎফর রহমান (৩৭) এর মাথার উপরিভাগের বাম
পার্শ্বে কুপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করিয়া মাথার উপরি ভাগের বাম পার্শ্বের হাড় ভাঙ্গিয়া ফিনকি দিয়া রক্ত বাহির ।
দোকানের কর্মচারী জসিম মিয়া লুৎফর রহমানের মাথায় গামছা দিয়া বাধিতে থাকাবস্থায় ৬নং
আসামী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া বাম হাতে বাড়ি মারিয়া হাতের কনুইয়ের লিগামেন্ট ছিড়িয়া মারাক্তক
গুরুতর জখম করে ৭নং আসামী তার হাতে থাকা শাবল দিয়া আমার ডানহাতের কনুইয়ের উপরে এবং পিঠে
এলোপাথারী বাইরাইয়া মারাক্তক রক্ত জমাট জখম করে। এবং রেষ্টুরেন্টের কর্মচারীদের ডাকচিৎকারে আমার
রাসেল মিয়া (৪২) খবর পাইয়া বাচানোর জন্য আগাইয়া আসিয়া আর না মারার
জন্য অনুনয় বিনয় করিলে ১নং আসামী বলে যে, শালাকে প্রাণে মারিয়া ফেল তারপর ২নং আসামী তাহার হাতে থাকা চাইনিজ
কুড়াল দিয়া রাসেল মিয়া (৪২) কে হত্যার উদ্দ্যেশে মাথা বরাবর কুপ মারিলে উক্ত কুপ রাসেল মিয়ার মাথার তালুর বাম পাশে
লাগিয়া ফিনকি দিয়া রক্ত বাহির হয় এবং মারাত্মক রক্তাক কাটা জখম হয় । উক্ত আঘাতের ফলে রাসেল মিয়া মেঝেতে লুটাইয়া
পরিলে ৮ও ৫নং আসামী তাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়া রাসেল মিয়ার উভয় হাতে ও পিঠে এলোপাথারী বাইরাইয়া
নিলাফুলা জখম করে।
আমার স্বামী এবং আমার ভাসুর (রাসেল মিয়া) কে বাচানোর জন্য আমার স্বামীর রেষ্টুরেন্টের ম্যানেজার
আব্দুল হালিম (৪৫) তাহাদের রক্ষা করতে আগাইয়া আসিলে ৪নং আসামী তাহার হাতে থাকা শাবল দিয়া আব্দুল হালিমকে
হত্যার উদ্দ্যেশে মাথা বরাবর বারি মারিলে আব্দুল হালিম ডান হাত দিয়া ফিরাইতে গেলে শাবলের ধারালো অংশ ডান হাতের
কনুইয়ের উপর লাগিয়া মারাত্মক কাটা জখম হয় ও ফিনকি দিয়া রক্ত বাহির হয় এবং মেঝেতে লুটাইয়া পরিলে ৯নং আসামী
তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আব্দুল হালিমের পিঠে এলোপাথারী বাইরাইয়া নিলাফুলা জখম করে। ৮নং এবং ১৩ নং
আসামী রেষ্টুরেন্টের ক্যাশ বাক্স ভাঙ্গিয়া ক্যাশ হইতে আনুমানিক নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা নিয়া যায়। আসামীগন সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকা লোহার রড, বাশের
লাঠি, শাবল, হাতুরি দিয়া দোকানের সিলিং ৪টি ডিপ ফ্রিজ, ২০টি চেয়ার, ৫টি টেবিল, সিরামিকের তৈজসপত্র, সিলিং ফ্যান,গ্যাসের চুলা, গ্লাস, খাবার রাখার সুকেস, পার্টিশন গ্লাস, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, শোপিছ, জেনারেটর ইত্যাদি ভাংচুর করে এবং
রান্না করা খাবার, ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবার, ভেবারেজ ইত্যাদি নষ্ট করিয়া আনুমানিক ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকার
ক্ষতিসাধন করে ভিকটিমদের ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীগন ঘটনাস্থল হইতে পলায়ন করে এবং আসামীগন চলিয়া যাওয়ার সময় এই মর্মে হুমকী প্রদান করে যে, আজকে জীবন ভিক্ষা দিয়া গেলাম এই ব্যাপারে কোন
প্রকার আইনের আশ্রয় নিলে পরবর্তীতে জানে মারিয়া লাশ গুম করিয়া নদীতে ফেলিয়া দিবে। ভিকটিমদের তাৎক্ষনিক ভাবে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন ভিকটিম আব্দুল হালিমকে দ্রুত চিকিৎসার করার জন্য ভর্তি
করেন এবং লুৎফর রহমান এবং রাসেল মিয়ার অবস্থা গুরুতর থাকায় তাদেরকে অতিদ্রুত উন্নত
চিকিৎসার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর আঘাত গুরুতর বিবেচনায় তাহাদের বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
করতে অপারগতা জ্ঞাপন করিলে তাদের নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । বর্তমানে আহতরা নরসিংদী জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহতদের দেখতে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন,ও জেলা যুবদলের সভাপতি মৌসুম হোসেন বিদ্যুৎ ।