February 7, 2025, 9:00 am
শিরোনামঃ
গণ অধিকার পরিষদের লিপলেট বিতারন করেন কাজী রনী। গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপি এর সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এম,এইচ খান মঞ্জু গণসংযোগ করেছেন সংস্কার সংস্কার করে অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকবেন, এটা হবে না -বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা মো. শরীফুল আলম সুনামগঞ্জের জামায়াত ৫টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত নোয়াখালীতে সাবেক সেনাপ্রধানের ও আ.লীগ নেতার বাড়িতে হেলমেট বাহিনীর হামলা-অগ্নিসংযোগ রাউজানের কাশেম নগর সান সাইন যুব সংঘের অলিম্পিক ফুটবল টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্বোধন ও ফাইনাল সম্পন্ন বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের আঁতুড়ঘর ধানমণ্ডি-৩২ ভাঙার প্রতিবাদে ও উগ্র-জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চট্টগ্রামে কম্বল বিতরণ ও ৩১ দফা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাট পাঁচবিবিতে কৃষকদলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় মাথাপিচু ৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার অভিযোগ

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ

নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়ে টাকা নেযার অভিযোগ উঠেছে খাজুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। টাকা দিলে অনেক সুস্থ মানুষকেও সুবর্ণ নাগরিকের কার্ড দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত ভাতা মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ৯ নং ওয়ার্ডের খোর্দ্দকালনা মন্ডলপাড়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সুবিধাভোগীদের মাঝে এ টাকা বিতরণ শুরু করে। সেখানে ইউপি সদস্য তার সীলসহ প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৪ হাজার দাবী করে চিরকুট দেয়। প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা টাকা উত্তোলন করলে ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীনকে ও অফিস খরচ দেয়ার কথা বলে প্রত্যেক ভাতা ভোগীর কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা করে আদায় করতে থাকে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বা প্রতিবাদ করলে তার ভাতা বন্ধ করে দেয়ার হুমকীও দেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে ভাতা বিতরণ বন্ধ করে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘন্টা পর আবারও ভাতা বিতরণ শুরু করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েকজন প্রতিবন্ধীর অভিভাবক জানান, এ ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন এবার প্রায় ৪০০ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ। টাকার নিয়ে আলমগীর মেম্বার, চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা অফিসের সহযোগিতায় ওইসব মানুষকে প্রতিবন্ধী ভাতার সুযোগ করে দিয়েছেন।এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন টাকা নেয়া বা চিরকুট পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কাউকেই প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেননি এবং কারো কাছে কোনো টাকাও নেননি। তার সীলমোহরকৃত চিরকুট অন্যকেউ বিতরণ করেছেন। তাছাড়া সেখানে তার স্বাক্ষরও নেই।এ বিষয়ে জানতে খাজুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিনকে ফোন দেয়া হলে তিনি সাংবাদিকদেরকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, মানুষ টাকা দেয় কেন? পরে টাকা নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার পাওয়ায় তাৎক্ষণিক সেখানে টাকা বিতরণ বন্ধ করে পরিষদে নিয়ে এসে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের মাঝে ভাতার টাকা বিতরণ করা হয়। মহাদেবপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অতি: দায়িত্ব রাজিব আহমেদ বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার জন্য যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর সুপারিশ করবেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই প্রথম জানলাম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাসও দেন তিনি।
নওগাঁ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা