জয়পুরহাট রাজশাহী কৃষি ব্যাংকের ঋণ নিতে গিয়ে দেখেন, তার নামে আগেই কেউই ঋণ নিয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারীকে বাঁচাতে কর্তৃপক্ষ দাঁড় করাচ্ছে অদ্ভুত যুক্তি।
জয়পুরহাটে সদর পুরানাপোল রাজশাহী কৃষি ব্যাংক থেকে গত বছর ঋণ নিয়েছিলেন , তাজপুর গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান পলাশ। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ২০২৪ সালের জানুয়ারি শেষের দিকে সুদে আসলে ঋণ পরিশোধ করেন।
এক থেকে দেড় মাস পরে আবারো ঋণ নিতে এগিয়ে জানতে পারেন কয়েকদিন আগে তার নামে 1 লক্ষ 30 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছে । তার মত ভুক্তভোগী আরো কয়েকজন কৃষক। এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে জানতে গেলে, আমিনুর রহমান পলাশ
বলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা তো দূরের কথা, ঋণ কেলেঙ্কারির এর পক্ষে কর্মকর্তা বলেন ব্যাংকের স্বার্থে মাঝেমধ্যে এমন অনিয়ম করতে হয়।
ঋণ জালিয়াতির খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকে উধাও হয়ে গেছে ব্যাংকের এক কর্মচারী পাঁচবিবি থানার কুসুম্বা ইউনিয়নের বাঁশখুর গ্রামের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।
ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান পলাশ, বলেন আমি গত বছর ঋণ নিয়েছিলাম ,ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ করি। আমি গত মে মাসের ১৩ তারিখে আবার ঋণ নিতে যাই ব্যাংকে , ব্যাংকের কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করলে ওই কর্মকর্তা বলেন।
আপনি ঋণ নিয়েছেন আপনাকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা আমার ফাইল না দেখে চ্যালেঞ্জ করে বলেন , আমি প্রমাণ করতে পারব আপনি ঋণ নিয়েছেন এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা আপনার মনে নাই, আপনি ঋণ নিয়েছেন পুনরায়।
ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান পরের দিন, চারজন ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে ব্যাংকের তথ্য নেওয়ার জন্য গেলে, আমিনুর রহমানের ফাইলের তথ্য দেখার পর ,আমিনুর রহমান বলেন স্বাক্ষর নকল করে ঋণ নিয়েছে। আমিনুর রহমান বলেন আমার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে। আমিনুর রহমান বলেছেন,আরো কয়েকজন কৃষকের সাথে এরকম ঋণ কেলেঙ্কারি করেছে মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।
আমিনুর রহমান পলাশ সহ স্থানীয় লোকজন আরো কিছু ভয়াবহ তথ্য দেয়, সাংবাদিকদের । স্থানীয় লোকজন বলেন মোস্তাফিজুর রহমান ম্যানেজারের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়। স্থানীয় কিছু লোকজন আরো বলেন এই ব্যাংকে যাদের ডিপিএস একাউন্ট আছে সেই গ্রাহকদের ধরে ধরে মুস্তাফিজুর রহমান 5 লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা করে ঋণ তুলে নিয়েছে, এবং তাদের লোভ দেখিয়েছেন ব্যাংকের থেকে অধিক লাভ বা মুনাফার দিবে, এই ব্যাংক কর্মকর্তা মুস্তাফিজ। এই টাকা নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান , বাহিরে সাধারণ লোকজনে কাছে অধিক হারে সুদে (দাদন)খাটাতেন।
ব্যাংকের বড় কর্মকর্তার সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমরা মুস্তাফিজুরের নামে কোন অর্থ কেলেঙ্কারি পাইনি , তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।
এদিকে মোস্তাফিজুর রহমান কয়েকদিন আগে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে , এলাকা থেকে লাপাত্তা নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে মুস্তাফিজুর।
ভুক্তভোগী আমিনুল সহ আরো কয়েকজন কৃষক বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ করেছি, ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের নামে। আমরা চাই সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে ব্যাংক ম্যানেজারসহ মুস্তাফিজের নামে যে অর্থ কেলেঙ্কারি, অর্থ আত্মসাৎ করেছে তার সুষ্ঠু বিচার।
মোঃ আল-আমিন জয়পুরহাট
01714589679