January 21, 2025, 6:55 pm
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা ৫ লাখ ২০ হাজার কুড়িগ্রামে পৃথক ঘটনায় ৩ শিশুর লাশ উদ্ধার ময়মনসিংহে পিস্তলসহ ছাত্রদলের নেতা গ্রেপ্তার মাদারীপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৩ জন আটক,ইয়াবা উদ্ধার ফুলপুরে অবৈধ ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট ১৮ লক্ষ টাকা জরিমানা বাণিজ্য মেলায় নকল পন্যের ছয়লাভ ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ প্রস্তুতি সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম অমর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জিমন্যাশিয়াম চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার মুকসুদপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ৮টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ !

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ !

 

ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজার রহমান রিপনকে অবৈধভাবে আটকে রেখে শাস্তিমূলক আচরণ করেছে। সাম্প্রতি গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) শহরের হাজীপাড়া এলাকার নিশু ট্রেডার্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পুলিশ রিপনকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে ৮ ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে দুটি মোটরসাইকেলযোগে মাহফুজার রহমান রিপনকে তুলে নেওয়া হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া পুলিশের কর্মকর্তারা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর থানার এ,এস,আই খাদেমুল ইসলাম এবং কনস্টেবল সরব। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর, রিপনের পকেটে থাকা ১৯ হাজার টাকা ও মুঠোফোনটি ছিনতাই করা হয়, এবং তাকে এক ঘরবন্দী করে রাখা হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, পুলিশের পক্ষ থেকে রিপনকে বিস্ফোরক আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় এবং পরে সন্ধ্যা নাগাদ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না, এবং কাউকে আটক করার কোনো ঘটনাও ঘটেনি। তার দাবি, “যদি কেউ আটক করে ছেড়ে দেয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এদিকে, স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ করছেন, পুলিশ প্রশাসন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পক্ষের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম রাঞ্জু ফেসবুকে লেখেন, “সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তার রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেও সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেননি।” অন্যদিকে, নেটিজেনরা এবং বিভিন্ন স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কখনও অভিযোগের বিষয়বস্তুর প্রতি গুরুত্ব দেয় না, এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা উপেক্ষা করছে। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, পুলিশের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রাজনৈতিক নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, যদি পুলিশ কোনো অপরাধীকে ধরে রেখে পরে তাকে ছেড়ে দেয়, এবং বিষয়টি অস্বীকার করে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাধারণ জনগণের মধ্যে পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হওয়ায়, একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, যে পুলিশ এখন আর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছে না, বরং রাজনৈতিক পক্ষের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা