ওসমান গাজীকে কালো (তুর্কি ভাষায় কারা) নাম দেওয়া হয়েছিল, যা একটি প্রাচীন টার্কোম্যান ঐতিহ্য অনুসারে সাহসী এবং বীরত্বপূর্ণ ব্যক্তির পরিচায়ক। তিনি ন্যায়পরায়ণ ছিলেন, দরিদ্র লোকদের খুব সাহায্য করতেন, এমনকি এক অভাবী লোককে নিজের পোশাকও দিয়েছিলেন।
উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সুলতান, ১২৫২ খ্রিস্টাব্দে বার্সার নিকটবর্তী সোগুটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন এরতুগ্রুল গাজীর তৃতীয় সন্তান এবং তাঁর মা হালিমে হাতুন। ওসমান গাজী মাত্র ২৩ বছর বয়সে সোগুতের কাই গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং এরতুগ্রুল গাজীর মৃত্যুর পরে বেইলিক লাভ করেন। ১৩২৬ সালে ওসমান গাজী তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৭ বছর শাসন করেছিলেন।
ওসমান গাজী বেইলিক গ্রহণের পরে তিনি নিজের চারপাশে বেশ কয়েকটি তুরকোমান দলের সাথে জোটবদ্ধ হন এবং সেলজুক সুলতান আলাউদ্দিন কেকুবাদ কে সহযোগিতা করে বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। আলাউদ্দিন কেকুবাদ কে নির্বাসনের পরে সেলজুক সাম্রাজ্য যখন শাসনকর্তা হারায় তখন ওসমান গাজী ১২৯৯ সালে ওসমানী সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।
ওসমান গাজী তার ভাই, পুত্র এবং ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের সাথে নিয়ে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যান। তিনি স্থানীয় শাসকদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে বাইজেন্টাইন বাণিজ্য পথ বন্ধ করেছিলেন। ১৩২০ সালের পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাই তাঁর ছেলেরা লড়াই চালিয়ে যান। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বহু শহর দখল করেছিলেন। তিনি সোগুতে ৬৮ বছর বয়সে শারীরিক অসুস্থতার কারনে মারা যান এবং বার্সা শহরে তাকে সমাহিত করা হয়।
ওসমান গাজী তিনি প্রথমে বালা হাতুন ওরফে রাবিয়া কে বিয়ে করেন। ২য় বিয়ে মালহুন হাতুনকে বিয়ে করেন এবং মালহুন এর পুত্র ওরহান গাজী পরে সুলতান হন। মালহুন হাতুনের পরে তিনি ওসমান