May 24, 2025, 9:46 am
শিরোনামঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে কোরবানির ঈদকে ঘিরে বাজার মনিটরিং, ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা । টুঙ্গিপাড়ায় অপহরণ চক্রের মূল হোতাসহ একাধিক মামলার দুই আসামি গ্রেফতার শিক্ষক ও ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার মোহনপুরে দেশী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪ জন দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এলাকার মুরুব্বি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভা সম্পন্ন গাউছুলআজম মাইজভান্ডারী হযরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আহম্মদ উল্লাহ (ক:) এর চান্দ্রবার্ষিক (কমরি) ওরশ শরীফ ২৭ জিলক্বদ ২৬ মে সোমবার নবজাতক কুড়িয়ে পেলো নিঃসন্তান দম্পতি ভূরুঙ্গামারীতে হৃদয় ছোঁয়া ঘটনা, দত্তক নিতে চান মিলন-আশা। ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে আসামির মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিনব্যাপী যুব কর্মসংস্থান ও আম রপ্তানি শীর্ষক সেমিনার

ঠাকুরগাঁওয়ে নদী দখল করে স্থাপনা !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,

ঠাকুরগাঁওয়ে নদী দখল করে স্থাপনা !

ঠাকুরগাঁওয়ে দিনদিন বেপরোয়া হচ্ছেন নদী দখলদাররা। নদী দখল করে নতুন নতুন বসতভিটা, দোকানপাট ও শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে নদীর গতিপথ বন্ধ হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলার ১৩টি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৯১ কিলোমিটার। পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, দখলকারীদের কবলে পড়ে নদী হারিয়েছে জীবন্ত সত্তা। ঝুঁকিতে পড়েছে পরিবেশ। নদীদূষণসহ অবৈধ স্থাপনা তৈরি করায় মূল নদীর প্রবাহ অত্যন্ত সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। যেন দেখার কেউ নেই। নদী রক্ষা আইন আছে, রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধানও। কিন্তু আইনের প্রয়োগ না থাকায় বেপরোয়া হচ্ছেন দখলকারীরা। বছরের পর বছর এমন অবস্থা চলতে থাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়ছেন স্থানীয় জেলেরা। স্থানীয়রা বলছেন, ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা টাঙ্গনের মতো প্রতিটি নদীই এখন ধুধু বালুর চর। বর্ষা কিংবা খরা মৌসুমে পানি শুকিয়ে জেগে উঠছে চর। টাঙ্গন, শুক ও সেনুয়া সহ ১৩টি নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ দখলদাররা গড়ে তুলছে বসতভিটা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় দখল আর সময়-অসময়ে অপরিকল্পিত খননে কোনোভাবেই প্রাণ ফিরছে না এসব নদীর। চর জেগে ওঠায় দিন দিন গতিপথ বন্ধের পাশাপাশি ছোট হয়ে আসছে নদীগুলোর সীমানা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠছেন দখলদাররা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী দখল হতে থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের। ফলে দিন দিন নদীর সীমানা ছোট হয়ে পরিণত হচ্ছে মরা খালে। তারা আরও জানান, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নদীর জমি দখলকৃতদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলার ১৩টি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৯১ কিলোমিটার। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত ৪৬০ জনের দখল করা জমির পরিমাণ সাড়ে ৭ একর। অভিযান পরিচালনা করে ১৩৩ জনের দখল করা প্রায় ৩ একর জমি উদ্ধার হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম যাকারিয়া বলেন, তালিকা ধরে দখলকৃত জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কয়েকটি কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব জমি উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “ঠাকুরগাঁওয়ে নদী দখল করে স্থাপনা !”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা
Skip to toolbar