December 10, 2024, 5:17 am
শিরোনামঃ
টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিতন্ডা, ৭ ছাত্রকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা   বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী স্বপন কান্তি বড়ুয়ার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী ১১ ডিসেম্বর মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ ঘোষিত সাংগঠনিক সংলাপ মহানগর সাংগঠনিক সংলাপ অনুষ্ঠিত কিংবদন্তি শিল্পী বাবুল জলদাসের সানাই বাদনে মুগ্ধ দর্শক সাতক্ষীরায় শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা সোনারগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক রাসেল আহত! অটোরিকশা ছিনতাই কালে চালককে হত্যা, কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মিলল মরদেহ বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.)’র ৯৬তম খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহ্ফিল ২১ ডিসেম্বর

আশুলিয়ায় ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ দিলেন বড়ভাই

মোঃমনির মন্ডল,সাভারঃ

আশুলিয়ায় ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ দিলেন বড়ভাই

আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছোট ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে যান বড়ভাই সুলাইমান(১৮)। ছোটভাইকে বাঁচাতে পারলেও প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সুলাইমানকে পিটিয়ে হ*ত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে এঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার (১৪ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত কাল রাত নয়টার দিকে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুলাইমান নীলফামারীর জেলার ডিমলা থানার দক্ষিন সুন্দরখাতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। সে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান কামালের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করতো। সুলাইমান ডেন্ডাবর এলাকার আব্দুল্লাহ আল রাহাত ফেব্রিক্স নামের একটি কারখানায় কাজ করতো।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বিকেলে কয়েকজন মিলে বালু মাঠে খেলছিল। সেখানে সেলিম নামের একজন ছিল। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে সেলিমকে মারধর করে আটকে রাখে কয়েকজন। সেলিমের বড় ভাই সুলাইমান জানতে পারলে ভাইকে বাঁচাতে সেখানে যান। এসময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে সুলাইমান গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত সুলাইমানের বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, সন্ধ্যা বেলা ছোট ছেলে সেলিমকে মারধর করেছে এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এই খবর পাওয়ার সুলাইমান সেখানে যায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ছেলে সুলাইমানের উপরও হামলা চালায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে বাসার পাশে একটি কারখানায় কাজ করতো। কোন ধরনের আড্ডা ও গ্যাং এর সাথে জড়িত ছিল না। ওখানে আরিফ, রিয়ান, সজীব, জীবন , সুহান, রাজন, জিতু পারভেজ, ইয়াছিন , তামিম, কাউছার, আমিন অপূর্ব ছাড়া আরও কয়েকজন সুলাইমানের উপর হামলা করে। তারা কোন কারণ ছাড়াই সুলাইমানকে পিটিয়ে মেরেছে। তাদেরকে এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।

এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন বলেন, লাশ ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে কে জড়িত তাদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই-বাছাই চলছে। খুব দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা