পাঁচবিবির আওলাই ইউনিয়নের
৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে
৩০ আগষ্ট শুক্রবার ,বৈকাল ৪.০০ টায় পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গোড়ণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ মুনছুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশাল এই কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা পেশ করেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম কর্মপরিষদ সদস্য ও পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনা পেশ করেন পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ মোঃ সুজাউল করিম,উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আজিজুল হক ঠান্ডা,উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মোঃ আবু সুফিয়ান (মুক্তান),উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আবু রায়হান ও আওলাই ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ নূর হোসেন আকন্দ বাবু।
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাঁচবিবি পূর্ব আর্দশ থানা শাখার সংগ্রামী সভাপতি হাফেজ মোঃ রুহুল আমিন,পাঁচবিবি পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বাশার, কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবু ইউসুফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান,আওলাই ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম।
আওলাই ইউনিয়নের ওলামা বিভাগের সভাপতি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম।
এছারাও কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বাইতুলমাল সেক্রেটারী মোঃ শাহাজান আলী,ইউনিয়ন প্রচান বিভাগের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন,ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ রাশেদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ক্ষমতাচ্যূত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশে বিরোধী মতের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সহ অসখ্য মানুষকে মামলা,হামলা,গুম করেছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এই দেশটাকে ধংশ করে দিয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন করতে না পেরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল অথচ আজ জনগণই তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই জামায়াত-শিবিরই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
ডাক্তার মোঃ সুজাউল করিম বলেন – ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বৃথা যেতে দেওয়া হবেনা।
ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন শেষে জনগণ প্রত্যাশা করছে সত্যিকার ন্যায়বিচার,শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তার এক বাংলাদেশ। সেখানে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মানুষ জামায়াতের দিকে তাঁকিয়ে আছে।
উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আজিজুল হক ঠান্ডা বলেন,আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য জান ও মালের কুরবানীর দেওয়ার জন্য সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে।
উপজেলা সেক্রেটারী মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করা এটি একটি ফরজ ইবাদত। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য,দুনিয়াতে কল্যাণ ও পরকালে মুক্তি জন্য ইসলামী আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
তিনি উপস্থিত সবাইকে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে বেগবান করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
ইউনিয়ন আমীর নূর হোসেন আকন্দ বাবু বলেন,হাসিনা-খালেদা, ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সব দেখা শেষ আগামীর দিন হবে ইসলামের বাংলাদেশ।