ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল আলিম তথ্য গোপন করে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একাডেমিক সুপারভাইজার কন্যা যশোর মাধ্যমিক উচ্চ-মাধ্যমিক বোর্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রী হিসেবে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু আব্দুল আলীম তথ্য গোপন করে জেলা প্রশাসকের ট্রেজারি অফিস থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন কালিগঞ্জ থানায় এনে তা বাছাই করে পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী পুলিশ হেফাজতে রাখেন। অপরদিকে,কালীগঞ্জের আলহাজ্ব আমজাদ আলী ফাইজুর রহমান মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ কন্যার এইচ এসসি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটি প্রকাশ হলে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ মোতাবেক যদি কোনো কর্মকর্তা বা শিক্ষক কর্মচারীদের নিজ সন্তান, চাচাতো ভাই, ভাগ্নে, ভাগ্নি যদি বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তাহলে তিনি সেবছর ওই পরীক্ষার কোনো কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কিন্তু একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল আলিম কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ক্ষমতা বলে তথ্য গোপন করে এভাবে বোর্ড পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন? এ ব্যাপারে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল আলীমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এবছর আমার মেয়ে বোর্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা ভালই হচ্ছে শুনছি। মেয়ে পরীক্ষার্থী হয়েও আপনি কিভাবে ওই পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনার যা ইচ্ছা তাই লিখে দেন, কোন সমস্যা নেই। এসব লেখালেখি করে আমার কিছুই করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা এইচ এস সি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ এ দেওয়া মেসেজ দেখে তিনি তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মমিনুর রহমান জানান, তথ্য গোপন করে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করা বিধি বহির্ভূত। তাকে এখনই ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।