ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিবৃতি
মেটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তির প্রতিভূ খুনি-ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধারায় পরিচালিত করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষদের উপর রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে চরম নিষ্পেষণ ও নির্যাতন চালানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত এবং বাংলাদেশের সুমহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন বুলডেজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ বাড়িটি ধ্বংস করার কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করার চূড়ান্ত অপপ্রয়াস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমগ্র জাতির স্মৃতি ও অনুভূতির সুউচ্চ মিনার গুড়িয়ে দেওয়ার ধৃষ্টতা। একদিকে অকথ্য দমন-পীড়ন, অন্যদিকে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রযোজনায় বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।
সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে কুৎসা রটানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সরকারের একটা গোয়েন্দা সংস্থা ভারতের কলকাতায় পার্ক হোটেলে গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার ভুয়া প্রতিবেদন করেছে। সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ও অদক্ষতার কারণে সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারছে না। সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়েছে এবং প্রতিটি সেক্টরে মানুষ তাদের হৃত অধিকারের দাবিতে সোচ্চার। এটা থেকে দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন গুজব ও অপপ্রচার করছে। পার্ক হোটেলে ভুয়া মিটিং নিয়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে যে ভুয়া প্রতিবেদন সামনে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা দৃঢ়তা সঙ্গে বলতে চাই, এ ধরনের কোনো মিটিং বা সভার সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাকর্মীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা এ ধরনের উদ্দেশপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রমূলক প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ভুয়া প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদটি প্রত্যাহারের আবেদন জানাই। তা না হলে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ বা মামলা রুজু করতে বাধ্য হব।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।