ডিবির তদন্তে সাড়া না দিয়ে লাপাত্তা ভুয়া সম্পাদক, মলম শাহ আলম গং
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভুয়া পত্রিকার ছড়াছড়ি বিগত বারো বছর যাবত অবৈধ ভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে নারায়ণগঞ্জে কিছু দৈনিক পত্রিকা আর এগুলো সম্পাদনা করে আসছে দৈনিক রুদ্র বার্তা, তা ছাড়া আওয়ামী লীগের দোসর বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সদস্য খন্দকার মাসুদুর রহমান দীপু মলম শাহ আলম, ধর্ষন মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাটপার আঃ মান্নান ও তথাকথিত কবি ফরিদা ইয়াসমিন।এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মনগড়া নিউজ করে অপপ্রচার ও সম্মান হানি করে আসছে। অথচ যে সমস্ত পত্রিকায় নিউজ ছাপা হয়েছে তাড়া নিজেরাই ভুয়া এবং একেক জন একেক মামলার আসামি।অবশেষে মলম বিক্রেতা শাহ্ আলম সহ তার প্রতারক চক্রের সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলেন বাদী আলমগীর। মামলা নং ৪১/২৪ ইং মামলার বিবরনে দেখা যায় মলম বিক্রেতা শাহ্ আলম যে পত্রিকা সম্পাদনা করছে দৈনিক রুদ্র বার্তা সেই পত্রিকার মুল সম্পাদক ও প্রকাশক হচ্ছে শহিদুল ইসলাম পাইলট এবং শরীয়তপুর জেলা থেকে পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। অন্য দিকে ভুয়া সম্পাদক শাহ আলম নারায়ণগঞ্জ থেকে অবৈধ ভাবে পত্রিকা বাজার জাত করে প্রতারনার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কপি পত্রিকা ৫ টাকা করে প্রতি বছরে ৫.৪০.০০০/ পাঁচ লাখ চল্লিশ হাজার টাকা করে বিগত ১২ বছরে আনুমানিক ৬ কোটি আটচল্লিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারনার মাধ্যমে। ২০১২ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ তিনি এই পত্রিকাটি অবৈধ ঘোষণা করে এবং তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার কে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। বিগত ১২ বছরেও কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে এই ভুয়া পত্রিকার বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ভুয়া সম্পাদক মলম শাহ আলম সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে প্রসাশন। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জনাব মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন একটা পত্রিকা দুই জেলা থেকে বের হতে পারে না, আর যেহেতু দৈনিক রুদ্র বার্তা পত্রিকা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অবৈধ ঘোষণা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার কে আরো ১২ বছর আগে কেন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি তা আমি ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা সংস্থার ডিবির উপ পরিদর্শক ছায়েদুল হক জানান বিজ্ঞ আদালত থেকে চার জন বিবাদীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশ মতে তদন্ত কাজ শুরু করি বিবাদীদের ফোন করে বলি যে আপনারা আপনাদের পত্রিকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডিবি অফিসে আসেন। কিন্তু তাড়া দুই দিন সময় নিয়েছে কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য। দুই দিন অতিবাহিত হওয়ার পর জানতে পারি তাড়া শহর ছেড়ে লাপাত্তা তদন্ত কাজ চলছে সঠিক ভাবে তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এবিষয়ে দৈনিক রুদ্র বার্তা পত্রিকার আসল সম্পাদক ও প্রকাশক শহীদুল ইসলাম পাইলটের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ ০১৯৭৬৯৫৬৩৩১, ০১৭১৬৯৫৬৩৩০ করা হলে তিনি জানান মলম বিক্রেতা শাহ্ আলম ভুয়া সম্পাদক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শুধু শাহ আলম তালুকদার একা নয়, দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট, সাপ্তাহিক সত্যের পাতা, পত্রিকা ও বৈধ কোন নিবন্ধন নেই। সাপ্তাহিক রুদ্র কন্ঠ, পত্রিকার প্রকাশক হচ্ছে জলিলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হচ্ছে মোঃ মতিউর রহমান, জনাব মতিউর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ০১৯২৭১৩৯৫৬২, ০১৮১৯৮৯৪৪৬৪ তিনি জানান আমি শরীয়তপুর জেলা থেকে সাপ্তাহিক রুদ্র কন্ঠ পত্রিকা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে সম্পাদনা করে আসছি। সাপ্তাহিক রুদ্র কন্ঠ শরীয়তপুর জেলার আঞ্জলিক পত্রিকা। আর এক পত্রিকা তো দুই জেলা থেকে প্রকাশিত করার অনুমতি নেই। একুশে কাগজ অনলাইন পোর্টাল অনিবন্ধিত শুধু অনলাইন পোর্টাল নয়, নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব সেটা ও অনিবন্ধিত এবং এই অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক হচ্ছে ধর্ষন মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মামলা নং ১৭৬/২০০৬, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে আ: মান্নানের বিরুদ্ধে এর আগে ডিসি ও এসপির বরাবর একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হলেও এই পত্রিকায় নামে বেনামে মিথ্যা নিউজ করায় ২০২৩ সালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলডিপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা কামাল প্রধান মানহানির মামলা দায়ের করেন মামলা নং ১০৬/২০২৩ ভুয়া সম্পাদক মাসুদুর রহমান তিনি বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের নারায়ণগঞ্জ ইউনিটের নেতা আর অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকা পরিচয়ে চাঁদাবাজি ছিল তার মুল হাতিয়ার। এই পত্রিকা দিয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান,অটো রিকশা ইজিবাইকে স্টীকার লাগিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি আর মিথ্যা নিউজ করে মানুষ কে হয়রানি করতো বলে জানা যায়।
সাপ্তাহিক সত্যের পাতা এটা শুধু নামেই সত্য বাস্তবে মিথ্যা ছাড়া কিছুই নয়। বিগত কয়েক বছরে এই সত্যের পাতা পত্রিকা নারায়ণগঞ্জ বাসী প্রিন্ট কপি দেখেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু পত্রিকাটির সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের শুধু দাওয়াত কার্ড আর তার ভিজিটিং কার্ড দিয়েই সিমাবদ্ধ বাস্তবে এই পত্রিকার আদৌ কোন বৈধ নিবন্ধন আছে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। এই পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে একাধিকবার ঢাকা জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় লিখিত ভাবে অবগত করার পর ও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। তাই দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে এই সমস্ত প্রতারক চক্র এবং ভুয়া সম্পাদকদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হলো।