March 27, 2025, 9:22 am
শিরোনামঃ
পুলিশের দ্রুত অভিযানে অপহরণচক্রের ৬ সদস্য আটক অসচ্ছল রোজাদারদের পাশে দাড়ানো মহৎ ইবাদত: শাহ আলম অসহায়দের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন পাঁচলাইশ থানা জাসাসের নবগঠিত কমিটির অভিষেক গত ১৭ বছরে বিরোধী দলের উপর অন্যায় অত্যাচার জুলুমের কথা সংবাদ পত্রে আসেনি : ফারুক কোন গোষ্টি জাতির উপর প্রভূ হওয়ার চেষ্টা করবেন না….. সুনামগঞ্জ ১ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ঈদ সামগ্রী উপহার প্রদান অনুষ্ঠিত সৈয়দ মোর্শেদ কামাল স্মৃতি সংসদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস পালিত ময়মনসিংহ রেঞ্জে নবনিযুক্ত ডিআইজি জনাব মোঃ আতাউল কিবরিয়া মহোদয়ের যোগদান”

নরসিংদীতে ১২ ডিসেম্বর জেলা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী ঃ

নরসিংদীতে ১২ ডিসেম্বর জেলা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

 

 

অদ্য ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নরসিংদীতে হানাদার মুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক বাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই নরসিংদী জেলা হানাদার মুক্ত দিবস হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ দিনটি নরসিংদী বাসীর কাছে অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ও স্মরণীয়।
১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খন্ড খন্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সেই খন্ড খন্ড যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন জেলার ১১৬ জন বীরশ্রেষ্ঠ সন্তান। এর মধ্যে নরসিংদী সদরের ২৭, মনোহরদীর ১২, পলাশে ১১, শিবপুরের ১৩, রায়পুরায় ৩৭ ও বেলাব উপজেলার ১৬ জন। এ ছাড়া বহু মা-বোনের নীরব আত্মত্যাগের বিনিময়ে হানাদার মুক্ত হয় নরসিংদী জেলা।
স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকার সন্নিকটে অবস্থিত নরসিংদীতে ও মুক্তিযোদ্ধারা পিছিয়ে থাকেনি। দেশ মাতৃকার ডাকে সারা দিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল নরসিংদী জেলার আপামর জনসাধারণ। অস্ত্র হাতে রুখে দাঁড়িয়ে ছিল তারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। মুক্তি বাহিনীর প্রবল আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে নরসিংদীর পাক হানাদার মুক্ত হয়। সে জন্য ভালো নরসিংদীর মুক্তি পাগল মানুষের মনে এ দিনটি আজও স্মরণীয় দিন ।১৯৭১ সালের মার্চে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে নরসিংদীতে ইপিআর, আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়। এতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা তাদেরকে স্বাগত জানায়। নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে শত শত যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ খবর পৌঁছে যায় পাক বাহিনীর কাছে। এ খবরে ৪ এপ্রিল পাক বাহিনীর বোমারু বিমান নরসিংদী শহরে বোমাবর্ষণ শুরু করে। তখন গোটা শহরে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
বিমান বাহিনীর বোমা বর্ষণে শহীদ হন আবদুল হক ও নারায়ণ চন্দ্র সাহাসহ নাম না জানা আরো আট জন। ১৯৭১ সালের ২৩ মে তৎকালীন মুসলীম লীগ নেতা মিয়া আবদুল মজিদ মুক্তি সেনাদের গুলিতে নিহত হন। পরে শুরু হয় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও চোরাগুপ্তা হামলা। এরইমধ্যে পাক বাহিনী নরসিংদী টেলিফোন ভবনে ঘাটি স্থাপন করে। স্থানীয় দালাল ও রাজাকারদের যোগসাজসে হানাদার বাহিনীরা প্রতিদিন চালায় ধর্ষণ, হত্যা ও লুটতরাজ। অপরদিকে বাংলার মুক্তি পাগল ছেলেরা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেয় এবং আঘাত হানে শক্র শিবিরে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা