ঝিনাইদহের মহেশপুরে কালিগঞ্জ-জীবননগর মহা-সড়কে গাছ ফেলে আবারো ডাকাতি দুইজনকে কুপিয়ে জখম।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর টু ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মহা-সড়কের মহেশপুর উপজেলার তুষার সিরামিকের ২শ গজ পশ্চিমে ৩০ নভেম্বর রবিবার রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে খাঁন বাজাজ মটরসাইকেল বহন করা এস এম ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি উত্তরা মটরস্ সহযোগী প্রতিষ্টানের একটি কাভার ট্রাকসহ ঢাকা যানবাহন ডাকাতির কবলে পড়ে। এসময় ডাকাত দলের হাতে মটরসাইকেল বহনকারি কাভার পিকআপের ড্রাইভার জুয়েল ও হেলপার আকাশ নামের দুজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
ডাকাত দলের হাতে বাঁচার জন্য মোটরসাইকেল বহনকারি পিকআপ গাড়ীটি ব্যাক গিয়ারে পিছনে যেতে গিয়ে রাস্তার পাশেই উল্টিয়ে পড়ে যায়।
রাতেই খবর পেয়ে মহেশপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশপুর ও পরে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এতে হেলপার আকাশের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছ।
খাঁন বাজাজ শোরুমের স্বত্বাধিকারী মারুফ খান জানান জীবননগর শোরুমের উদ্দেশ্য নতুন মোটরসাইকেল বাহী কাভার ভ্যানটি জীবননগর বনবিভাগের সামনে তার শোরুমে আনলোড করার জন্য যাচ্ছিল,এসময় ডাকাতির কবলে পড়ে।
কয়েক মাসের ব্যবধানে ৫/৬ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে,এর মধ্য অন্যতম ঢাকাগামী রয়েল এক্সপেস,পূর্বাশা পরিবহনের গনডাকাতির পর বীভৎস ভাবে কুপিয়ে জখম করে। ১ আগস্ট সাংবাদিক এসকে লিটনের গাড়িতে আক্রমন চালাই, সেই সাথে পণ্যবাহী চারটি ট্রাক ডাকাতি ও শ্যামকুড়ের এক ব্যক্তি পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
উল্লেখ্য জীবননগর টু কালিগঞ্জ হাইওয়ের হাসাদারে বকুন্ডিয়া থেকে খালিশপুর জিয়া কলেজের আগ পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দুরত্ব এই নির্জন রাস্তা টার্গেট করে
বার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ঝিনাইদহ প্রশাসনের নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আজও পর্যন্ত ডাকাত দলের কোন সদস্যদের আটক কিংবা লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
ব্যস্ততম সড়কে ডাকাতদলের ভয়ে যানবাহন এবং ঢাকাগামী পরিবহন চরম নিরাপওা হীনতায় চলাচল করছে।
রয়েল পরিবহনের সুপারভাইজার জনি জানান,রাতে ঢাকা থেকে রওনা দেওয়া পরিবহন গুলো মাঝরাতেই কালীগঞ্জ অবধি পোছিয়ে যায় অথচ জীবননগর অভিমুখে রওনা দিতে সাহস পায় না ভোরের আলো ফোটা না পর্যন্ত।
আরো জানায় রাতে তিন/চারটা গাড়ি একএে হলে তারা দলবন্ধ ভাবে রওনা দেয়। হাইওয়েটি অনেক সময় কালীগঞ্জ থানা প্রটোকল দিয়ে কোটচাঁদপুর সীমানা পর করে দিয়ে থাকে।
ঢাকাগামী পরিবহনের একাধিক ড্রাইভার,সুপার ভাইজার অভিযোগ করেন, মহেশপুর থানার হাইওয়ে পুলিশ থাকলেও সংখ্যায় নগন্য, তারা বলেন পুলিশ ডিউটি খালিশপুর কোল্ড স্টোরেজ এলাকায় করলে।
ডাকাত দল চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর সীমানা ঘেষা মহেশপুর থানার অন্তর্গত বকুন্ডিয়া ফতেপুর এলাকায় ডাকাতি ঘটায়।
আবার ডাকাতির খবর পেলেও মানধাত্তা আমলের যানবাহনে সঠিক সময়ে পৌছাতে পারে না।
তাছাড়া টহল পার্টির নগন্য সংখ্যর পুলিশ একাধিক সশস্ত্র ডাকাতের সাথে মোকাবিলার সাহস করে এগিয়ে যেতে পারে না। #যতক্ষণ পর্যন্ত মহেশপুর থানা থেকে সাপোর্ট পুলিশ ফোর্স তাদের সাথে যুক্ত হয়।
ততহ্মনে সর্বস্ব লুঠ শেষে পালিয়ে যায় নির্বিঘ্নে।
স্হানীয় এলাকাবাসীরা জানায় এই সড়কে গনডাকাতির নতুন কিছু নয় একে তো নির্জন রাস্তা তারপরেও রাস্তার আশপাশের ঘন বন- জঙ্গল এছাড়াও অন্যতম কারণ ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্যবর্তী জিরো পয়েন্ট এলাকা এই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে ডাকাতি করে নিরাপদে সুবিধাজনক স্হানে পালিয়ে যেতে পারে।
সড়কে চলাচলকারী জনগনের দাবী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অতিদ্রুত ডাকাত চক্রকে আটক করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।