বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম কেন্দ্রিয় সংসদ নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
: ২৭ ই নভেম্বর বুধবার সকাল ১২ ঘটিকা শহীদ এ্যাড. সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইকে হত্যার সুষ্ঠু ন্যায়বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন নিষিদ্ধের দাবীতে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ এর নেতৃত্বে আজকের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেনঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম- কেন্দ্রীয় সংসদের বিপ্লবী আহবায়ক জনাব এম. আবু ফয়েজ ভাই সহ যুগ্ম আহবায়ক বৃন্দ, সম্মানিত সদস্য বৃন্দ।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী কেন্দ্রীয় আহবায়ক জনাব এম. আবু ফয়েজ ওনার বক্তব্যে বলেন, প্রায় ২ সহস্রাধিক ছাত্র জনতার শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশটি সাম্য, মানবতা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। এখনও ঢাকার রাজপথ সহ অলিতে গলিতে এবং বাংলাদেশের সকল স্হানে আমার শহীদ ভাইদের রক্তের দাগ শুকায়নি। অথচ সদ্য বিদায় হওয়া ফ্যাসিস্টদের দোষরদের প্রেতাত্মা উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী সংগঠনের তথা ইস্কনের তৎপরতা বেড়ে গেছে। তার ই ফলশ্রুতি গতকাল দিবালকে চট্রগ্রাম আদালতে আমার আইন অঙ্গনের সহযোদ্ধা, প্রিয় ভাই শহীদ এ্যাড. সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইকে নির্মম ভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা নিশ্চিত করে সন্ত্রাসী দল ইস্কন ।
আমরা সারা বাংলাদেশের আইনের ছাত্র ছাত্রীরা হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলতে চাই, এই দেশে সকল শ্রেণী, ধর্ম বর্ণের নাগরিকদের বসবাস। সবাই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অধিকার সমান ভাবে ভোগ করবে। কিন্তু তাই বলে ধর্মের নামে কোনো উগ্রবাদী ইস্কনের সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে রক্তাক্ত ভাবে হত্যা করবে তা আমরা মেনে নিব না।
অচিরেই আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে আগামীতে আমরা আইনের ছাত্র ছাত্রীরা যে কোনো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হব।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন ছাত্র ফোরামের সভাপতি খন্দকার মো:সাদ্দাম হোসেন।
উক্ত দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন৷ এ সময় বক্তব্যে বলেন
বাংলাদেশের বিচারবিভাগ স্বাধীন। তার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, সেই মামলায় জামিনের আবেদন করায় তা মঞ্জুর হয়নি। রাষ্ট্র পক্ষের শুনানি করার কারণে সাইফুল ইসলাম আলিফকে জবাই করে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা মধ্যযুগীয় বরবরতা।
বাংলাদেশেল ষড়যন্ত্রাকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিতে চায়। ইস্কনের বহিস্কৃত নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়। সে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সে ষড়যন্ত্র করে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। তাকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার গ্রেপ্তার করেছে। তথাকথিত ইস্কনের নামে দেশের অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। দেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্রকে মেনে নিবে না।
আইনজীবীদের কোন দল নাই, মত নাই। তারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। আমরা বলে দিতে চাই, এই দেশে আমরা হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌধ, মুসলিম বাস করি। আমরা সবাই ভাই, এদেশের নাগরিক। একে অপরের উপর কাঁধে কাঁধ রেখে জীবন যাপন করবো। এই দেশকে গড়ে তুলবো, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন ছাত্র ফোরামের নেতৃবৃন্দ মো:ফজলে রাব্বি মহিউদ্দিন বক্তব্যে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, তাই কাউকে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং কোন কুচক্রী মহল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বানসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্য বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় করা। আইনজীবীদের কোন দল নাই মত নাই। এই দেশকে ঘরে তুলতে হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। সার্বভৌম বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র যারা করছে,আমরা চাবো অচিরে আমার ভাইয়ের আমার ভাইয়ের হাতটা কারীদের সুনিশ্চিত ভাবে বিচার হয় তাদেরকে বহিষ্কার করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন ছাত্র ফোরামের নেতৃবৃন্দ আসাদুল হক সরকার।
আইন কলেজের নেতৃত্বে আইন কলেজের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা, লিজা, তিন্নি, স্মৃতি, নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রসঙ্গে ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন ছাত্র ফোরামের পক্ষ থেকে আমি বেশি কিছু বলবো না, আমার একটাই দাবি চট্টগ্রাম আদালতের এডভোকেট সাইফুল ইসলাম কে এমন ভাবে হত্যা করাতে আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি , তাই আদালতের সুষ্ঠু বিচার৷ আমি চাচ্ছি।
এই ছাড়াও আজকের প্রোগ্রাম সফল করতে বিভিন্ন কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।