কমলনগরে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্রের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্রে অতিরিক্ত অর্থ, জেলা প্রশাসনের আগমনে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠে। তিনি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
সূত্রে জানান, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলার ৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিসেট প্রশ্নপত্রে ২০-২২টাকা করে আদায় করছে। ৩য়, ৪র্থ, ৫ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে প্রতি স্কুল ৪০০০টাকা হারে (২লাখ ৭৬হাজার) টাকা নেন। প্রতি বছর তিন বার স্কুলের পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসকের আগমনে নানামুখি খরচ দেখিয়ে প্রতি স্কুল থেকে ৬০০টাকা করেন ৪১৪০০টাকা চাঁদা নেন। এভাবে গত কয়েক বছর তিনি বিভিন্ন সময়ে স্লীপের টাকা, কাজের প্রজেক্টের টাকার বিল থেকে অর্থ নিতেন। সূত্রে আরও জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদানের পর তিনি নানান ভাবে হয়রানি করেন। এবং নিজেই শিক্ষা কর্মকর্তার চেয়ার বসে দায়িত্ব পালন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফি’র সাথে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ছয় শত টাকা নেন সহকারি শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলাম।
তারা আরও জানান, প্রতিসেট প্রশ্নপত্র তৈরি করতে ৭-১০টাকা মূল্য পড়ে, অথচ তিনি প্রতি প্রশ্ন পত্র থেকে ২০-২২টাকা করে নিচ্ছে। পাশবর্তী উপজেলা এবং জেলায় খবর নিয়ে জানা যায়, তাদের সর্বোচ্চ ১০টাকা খরচ পড়ে। এভাবে তিনি বিগত বছরগুলোতে অনেক টাকা নিরবে হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি ২০১৩সালে যোগদান করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো.কামরুল হাসান জানান, সহকারি শিক্ষা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো.জহিরুল ইসলাম বিগত দিনেও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিসেট প্রশ্নপত্রে ২০-২২টাকা করে স্কুল হারে ৪০০০টাকা করে নিতেন। ডিসি স্যারের আগমনে তার নির্দেশে ৬০০টাকা করে তোলা হয়েছে।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা(ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো.জহিরুল ইসলাম জানান, প্রশ্নপত্রের সেটপ্রতি ২০টাকা নেয়া হয়। এছাড়া ডিসি স্যারের আগমনে ৬০০টাকার বিষয়ে এড়িয়ে যান। উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রান্তিক সাহা জানান, প্রশ্নপত্রের জন্য সরকারি কিছু ফি ধরা আছে। কিন্তু বিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য নেওয়া ৬০০ টাকার বিষয়ে অবগত নন তিনি।