পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় আমিনুল হত্যা, মামলায় জর্জরিত।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম মিজমিজি এলাকায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় পাওনাদারকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ঘটনায় জড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ পলাশ ওরফে বরিশাইল্লা পলাশের বিরুদ্ধে।
কারন হিসেবে জানা যায়,পলাশের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে সি আর মামলা নাম্বার ১৪৭/২৩ দায়ের করেছেন। মামলা করার পর থেকে বিবাদী মোঃ পলাশ আরো বেপারোয়া হয়ে উঠেছে। পলাশ ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে আমিনুলের বিরুদ্ধে ২ টি হত্যা মামলায় আসামী করে বলে জানান।
পলাশ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ইকবাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
গত ৫ই আগস্টের পর আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলাতক হলেও সুবিধাবাদী পলাশ এলাকায় রয়ে যায় বহাল তবিয়তে।
সুমন ফকির ও মানিক গংদের বাসা বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালায় পলাশ বাহিনী।ইটালি প্রবাসীর একটি ফ্লাট দখল করে নিয়েছে বলে পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের লোক বনে যায় পলাশ। এতে করে পলাশকে এলাকাবাসী সুবিধাবাদী হিসেবে চিনে বলে জানা যায়।
পশ্চিম মিজমিজি রোজ গার্ডেন এলাকার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র আমিনুল ইসলাম বরিশাল জেলার বর্তমান মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ও আয়েশা বিবির পুত্র ধুরন্দর পলাশের নিকট ১০ লাখ টাকা পান।
দীর্ঘদিন টাকা চেয়েও না পাওয়ায় আদালতে প্রতারক পলাশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। অপরদিকে নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনকে ব্যবহার করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দিচ্ছে।
বাদী আমিনুল ইসলাম বলেন, পলাশের অত্যাচার আমি ও আমার পরিবার ঠিকমতো বাসায় বসবাস করতে পারি না আমাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়। তাই প্রশাসনের কাছে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে আসল অপরাধীদের শাস্তি দেয়া সহ আমাকে এই মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দাওয়া হোক।