কোম্পানীগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা নিহত
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা নিহত। আহত হয়েছেন ৩ জন। এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই পুলিশ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী জিয়া খানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক যুবদল সভাপতি ইউনুছ আলী ওরফে এরশাদ মাঝি স্থানীয় গুচ্ছ গ্রাম লিজ নেওয়া ঘাটে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করতে যান। এসময় স্থানীয় জলদস্যু ও ডাকাত নিজাম এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী জাবেদ,জিয়া খান,সুজন ও তারেকসহ চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না পেয়ে ইউনূছ আলী ওরফে এরশাদ মাঝিসহ তার ছোট ভাই জহির উদ্দিন,নিজাম উদ্দিন ও ফরহাদ এর ওপর অস্ত্রসহ হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় এরশাদ মাঝিকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হলে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথি মধ্যে এরশাদ মারা যান।
এরশাদ মাঝির পিতা রইছল হক জানান, নিজাম ডাকাতের ছেলে সন্ত্রাসী সুজন আমার ছেলের পেটের মধ্যে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এতে তার পেটের নাড়ি ভূড়ি বের হয়ে যায়।অপর সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার তিন ছেলেকে আঘাত করেছে।
নিহতের ভগ্নীপতি আলমগীর জানান,মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহজাহান ও তার ছোট ভাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মানছুরুল হক বাবর এর সন্ত্রাসী বাহিনী চাঁদা না পেয়ে যুবদল নেতা এরশাদকে হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল সমকালকে জানান,যারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা আমার দলের কেউ না। আমি এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহাজাহান বলেন, নিজাম ডাকাতসহ ওদের সাথে আমাদের পরিচয় নাই। আমরা তাদের চিনিও না। আমরা মুছাপুর ইউনিয়নে, তারা চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মানছুরুল হক বাবর এর ফোন নাম্বারে বার বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ ফৌজুল আজিম সমকালকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। রাতেই হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী জিয়া খানসহ সন্দেহ ভাজন আরও ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।