December 8, 2024, 9:37 pm
শিরোনামঃ
আল আমিন এর বায়ু পথে মিললো দুইটি স্বর্ণের বার নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উপলক্ষে সাইকেল র্র‌্যালী, আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত কবরের জীবনটা সহজ হবে না! জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম মহানগরের সভা অনুষ্ঠিত নড়াইলের কালিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আসামি ছিনতাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বালিয়াডাঙ্গীতে ২ নং- চাড়োল ইউনিয়ন বিএনপি’র বর্ধিত সভা । পড়ালেখা ও খেলাধুলা একে অপরের পরিপূরক- এ দুটো যার আছে সে সবচেয়ে ভালো : লায়ন সৈয়দ হারুন সরকারি কলেজের প্লাটিনাম জুবলী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা পটিয়ায় মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ সাংগঠনিক সংলাপ অনুষ্ঠিত

ত্রিভুজ প্রেমের বলি হলেন কলেজ ছাত্র সুমন

স্টাফ রিপোর্টার, আরিফউল হক আরমান বিশাল

ত্রিভুজ প্রেমের বলি হলেন কলেজ ছাত্র সুমন

 

শেরপুরে নিখোঁজের সাত দিন পর উঠানে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় সুমন মিয়া (১৭) নামে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে শহরের সজবরখিলা এলাকার একটি বাড়ির উঠান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সুমনের বান্ধবী আন্নি আক্তার (১৯) ও তার আরেক বন্ধু রবিনসহ (১৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিহত সুমন শেরপুর শহরের কসবা বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে এবং শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আর আন্নি আক্তার শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার শিক্ষক মো. আজিম উদ্দিনের মেয়ে। অন্যদিকে রবিন শহরের সজবরখিলা এলাকার মো. ফোরকান পুলিশের ছেলে। এ ঘটনায় আন্নির বাবা মো. আজিম উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া ও আন্নি আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে একই সঙ্গে পড়াশোনা করত। সেই সুবাদে আন্নি আক্তার ও সুমনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে আন্নি পরে রবিন নামে আরেক ছেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরে তিনি সুমনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।এদিকে গত ৪ নভেম্বর সোমবার বিয়ের কথা বলে সুমনকে ডেকে আনেন আন্নি আক্তার। তবে এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সুমনের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি এবং পরে আন্নি ও তাঁর বাবা আজিম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম।পুলিশ জানায়, তারা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে প্রথমে আন্নি ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করলেও সুমনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সোমবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে সুমনকে মেরে শহরের সজবরখিলা এলাকায় তাঁর বাড়ির উঠানে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাঁকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁর দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে সুমনের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করেছে। মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে পাওয়া গিয়েছিল। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল তিনজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তদন্তে আরও কেউ জড়িত থাকার বিষয় উঠে এলে তাদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা