জয়পুরহাট পাঁচবিবিতে, কয় সূত্রেও মালিক, দলিল এবং রেকর্ডসুত্রেও মালিক , ভোগ দখল অন্যের হাতে।
জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে । আজ সোমবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে ভুক্তভোগী মোঃ নবীর হোসেন মন্ডল (৭০) পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ছাতীনালী গ্ৰামের বাসিন্দা।
মোঃ নবীর হোসেন মন্ডল জানান ,আমি বিগত ১৯৮৮ সালে শ্রী কেশব চন্দ্র দাসের থেকে দলিল সুত্রে(১০,০৭৫) শতাংশ জমি ক্রয় করিয়া ভোগ দখল করিয়া আসতে ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে কেশব চন্দ্র দাস ইন্ডিয়া চলে গেছেন। কেশব চন্দ্রের ভাই ও ভাতিজা সুত্রে নিম্নে তফসিল বর্ণিত বিবাদীগণ, বিগত ১৯৯০ সাল হতে জোরপূর্বক দখল করিয়া নিয়ে, ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। তখন থেকেই বিবাদীগনের সাথে আমার বর্ণিত সম্পত্তি নিয়ে বিরত চলে আসতে ছিল। এরমধ্যেই একপর্যায়ে গত ৫/৩ /২০২৪ ইং তারিখে সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় আমি আমার নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে, ইটের বাড়ি নির্মাণ করার জন্য গেলে বিবাদীগণ আমার কাজে বাধা প্রদান করে।
আমি তাদের বাধা দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে , তারা আমাকে হুমকি দিয়ে বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে, তুমি সহ তোমার পরিবারের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে , বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। নবীর হোসেন আরো বলেন আমার ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করিতেছে । আমি কিংবা আমার পক্ষের লোকজন বাধা দিলে বিবাদীগণের দ্বারা আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যেদের জান ও মালের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে। এই জন্যই আমি বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।
নবীর হোসেনের ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্ব দখলদার হলেন , ছাতীনালী
একই গ্রামের বাসিন্দা,শ্রী গোপাল চন্দ্র দাস ,শ্রী নেপাল চন্দ্র দাস শ্রী নির্মল চন্দ্র দাস , শ্রীবিল চন্দ্র দাস ও শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র দাস।
উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে কয়েক মাস আগে গ্রাম্যশালীর বৈঠক বসে, গ্রামের মানুষের কাছে তারা জমি দিতে রাজি থাকলেও, সালিশ বৈঠক উঠে যাওয়ার পরে আর দিতে রাজি হয় না। এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ গ্রামের অনেক লোকজন আছে।
উক্ত জমিটি নবীর হোসেন মন্ডলের কয় কিটো জমি। উক্ত জমির দলিল রেকর্ড এবং খাজনার পরিষদের কাগজপত্র তার কাছে বিদ্যমান কিন্তু বিবাদীগণ অনেক দিন আগে থেকেই জবরদস্ত দখল করে আসতেছে।
মোঃ নবীর হোসেন মন্ডল ও তার ছেলে মেয়ে, বলেন আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি করছি।
অন্যদিকে বিবাদী শ্রী নেপাল চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগ টি সত্য , তবে অন্যান্য ভাই গুলো কেউ বাড়িতে নেই আমরা এই বিষয় নিয়ে বাড়িতে বসে সিদ্ধান্ত জানাবো।