December 10, 2024, 5:23 am
শিরোনামঃ
টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিতন্ডা, ৭ ছাত্রকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা   বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী স্বপন কান্তি বড়ুয়ার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী ১১ ডিসেম্বর মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ ঘোষিত সাংগঠনিক সংলাপ মহানগর সাংগঠনিক সংলাপ অনুষ্ঠিত কিংবদন্তি শিল্পী বাবুল জলদাসের সানাই বাদনে মুগ্ধ দর্শক সাতক্ষীরায় শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা সোনারগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক রাসেল আহত! অটোরিকশা ছিনতাই কালে চালককে হত্যা, কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মিলল মরদেহ বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.)’র ৯৬তম খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহ্ফিল ২১ ডিসেম্বর

জেল হত্যা দিবস আজ

স ম জিয়াউর রহমান :

জেল হত্যা দিবস আজ

 

আজ ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩ নভেম্বর) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী জাতীয় চার নেতাকে। তারা হলেন, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।
এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাস আগে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয় তার চার বিশ্বস্ত সহযোগীকে। এ হত্যাকাণ্ড স্মরণে প্রতি বছর ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর (১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর) ওই সময়ের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তার নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করে, পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণা করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে এর বিচারকাজ শেষ হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করতে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা