December 6, 2024, 3:07 pm
শিরোনামঃ
সেনবাগে সোনার বাংলা একাডেমী’র বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরষ্কার বিতরণ উজিরপুর বাজারে জনতা ব্যাংকটি স্থায়ীকরণের দাবীতে মানববন্ধন খাজরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন আশুলিয়ায় চুরি হওয়া ৩৭ দিনের নবজাতক উদ্ধার, দম্পতি আটক জাহাজী শ্রমিকদের ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও মিছিল আগামীকাল শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) এর ১১৯তম ওরশ শরীফ উপলক্ষে ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটি ও সংগঠনের যৌথ সমন্বয় সভা আগামীকাল নারায়নগঞ্জ জেলা তাঁতীদলের তারেক রহমানের ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ” ভোমরা স্থলবন্দরে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান ঠাকুরগাঁওয়ে কুয়াশায় ঢেকেছে , বাড়ছে শীতের তীব্রতা ঘন কুয়াশায় কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। কলারোয়ায় ৬ ডিসেম্বর গৌরবান্বিত মুক্ত দিবস

ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলা দিয়ে টাকা নিতেন ইন্সপেক্টর, বললেন ‘মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না’

মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,

ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলা দিয়ে টাকা নিতেন ইন্সপেক্টর, বললেন ‘মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না’

ঠাকুরগাঁও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের পাহাড়। লাভবান হওয়া ছাড়া কোনো অভিযান পরিচালনা করেন না তিনি। অফিসের ৩ জন সদস্যকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন বলয়। তাদের মাধ্যমে নগদ ও অনলাইন পেমেন্টে হাতিয়ে নেন লাখ টাকা। মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসানো, টাকা নিয়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়া, টাকা নিয়েও মামলা দেওয়া, এজাহার থেকে নাম কেটে দেওয়া সহ প্রতি মাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, গত ৩ বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন ফরহাদ। এর আগে সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত থাকলেও তার বদলির পর নিয়মিত দায়িত্ব পাননি কোনো কর্মকর্তা। পাশের জেলা নীলফামারীর কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলেও নিয়মিত অফিসে আসেন না তিনি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজস্ব বলয় গড়ে অনিয়মের কারখানা তৈরি করেছেন তিনি। তেমনি এক ভুক্তভোগী ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের মিলন নগরের বাসিন্দা রঞ্জু। ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। আচমকা তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আকন্দ টিম। ঘটনা না বোঝার আগে কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে সেখান থেকে আটক করে আনা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে করা হয় দুর্ব্যবহার। রঞ্জুকে গাড়িতে ওঠানোর পর আড়াই লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন আকন্দ। টাকা দেওয়ার অপারগতা জানালে তাকে নিয়ে চলে যাওয়া হয় অফিসে। তারপরে আকন্দের সহযোগী কনস্টেবল বাধন, খালেক ও ইউনুসের মাধ্যমে শুরু হয় দর কষাকষি। সেখানে ডেকে নেওয়া হয় রঞ্জুর ছোট ভাই শাকিলকে। টাকা দিলে হালকা মামলার প্রস্তাব দেন তারা। দাবি করা হয় ১ লাখ টাকা। ভাইয়ের মাদকের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান শাকিল। তাতেও ক্ষান্ত হননি আকন্দ বলয়। নানা ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে শুরু করেন চাপ। পরে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও কনস্টেবল বাধন তার মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আরও ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। টাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন আকন্দ। রঞ্জুর ভাই শাকিল বলেন, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে আমি জানতে পারি। পরে তাদের অফিসে গেলে তারা টাকা দাবি করে আমার কাছে। আমরা অনেক গরিব, টাকা কোথায় পাব। অনেক মিনতি করি কিন্তু আকন্দ কোনো কথা শোনে না। অস্বীকার করে আনীত অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা আখ্যা দেন ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না স্বীকার করে প্রতিবেদন না, করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। প্রতিবেদনটি প্রচার না, করার জন্য খামে করে প্রতিবেদককে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা