বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে সিএনজি শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিনের সংবাদ সম্মেলন
চুরি হওয়া সিএনজি গাড়ী চোরচক্রের কাছ থেকে ফেরত এনে দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগটি মিথ্যে ও বানানোয়াট দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার ২৩৫৯ সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক দুইবারের সহসম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর ২০২৪) বিকেলে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা মো. সালাউদ্দিন বলেন, গত ২১ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের মো. রাজা মিয়ার মেয়ে লাইলি আক্তার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, চুরি হওয়া সিএনজি গাড়ি এনে দেওয়ার কথা বলে আমি তার নিকট থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছি। এছাড়াও তিনি শ্রীমঙ্গল মেকানিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আব্দুল্লাহ মিয়া, হবিগঞ্জ রোড সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাইয়ূম মিয়ার নামেও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। তার এই মিথ্যে প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
লিখিত বক্তব্যে মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে লাইলি বেগমের সিএনজি গাড়িটি চুরি হওয়ার পর তারা আমার কাছে আসেন চুরি হওয়া সিএনজি গাড়ি খোঁজাখুঁজি করে বের করে দেওয়ার জন্য, তখন আমি তাদেরকে স্পষ্ট বলে দিয়েছি তোমরা তোমাদের মতো খোঁজাখুঁজি করে দেখো, আমি সংগঠনের কাজে সময় দিতে পারছি না, তারপরও তোমরা যদি কোথায়ও খোঁজ খবর পাইলে আমাকে জানাইও। আমি যতটুকু পারি তোমাদের সাথে সহযোগিতা করবো।
এরপর গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারা আমাকে ফোন করে জানায়, একটি চক্রের মাধ্যমে খবর পেয়েছে, গাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল মিরপুর বাজারে আছে। গাড়িটি টাকার বিনিময়ে চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার করা যাবে। এবং তারা আমাকে তাদের সাথে বাহুবলে যাওয়ার কথা বলে। আমি তাদের কথামতো আব্দুল্লাহ মিয়া ও কাইয়ুম মিয়াসহ আমরা মিরপুর বাজারে যাই। এসময় যারা গাড়ি ফেরত দিবে বলে এনেছে। তাদের সাথে কথা হয়। তারা আগে টাকা দিতে বলে, পরে সিএনজি ফেরত দিবে। আমরা তখন গাড়ি না দিলে টাকা দিবনা বলে জানাই। এবং লাইলী বেগমকে আগে টাকা না দিতে বলি। এক পর্যায়ে লাইলী বেগম তার ভাই শাকিল, তার বোন ও প্রবাসে থাকা ভাইয়ের সাথে কথা বলে ওই চক্রকে অগ্রিম টাকা দিতে রাজি হয়ে যায়। এরপর ওই চক্র গাড়ি এনে দিবে বলে অপেক্ষা করতে বলে চলে যায়। আমরা অপেক্ষার করার পর তারা জানায় আজ গাড়ী দিতে পারবে না। আগামীকাল দিবে। এর পর আমরা ফিরে আসি শ্রীমঙ্গলে।
এখন এ ঘটনায় লাইলী বেগম আমাকে দায়ী করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন, সালিশী বৈঠক এমনকি থানায় অভিযোগও করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি দায়ি নই। আমি কোন টাকা নেইনি এবং ওই চক্রের কোন সদস্য আমার পরিচিত নয়। তারা নিজেরাই পরামর্শ করে চক্রের হাতে টাকা দিয়েছে। আমরা শুধু তাদের সহযোগিতা করার জন্য তাদের সাথে বাহুবলের মিরপুরে গিয়েছি।