নওগাঁসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার আজ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের ধুম
নওগাঁসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সারদীয় দুর্গাপূজা বিজয় দশমী আজ প্রতিমা বিসর্জনে ধূম রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শারদীয় দুর্গাপূজার দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের উৎসবে দুই শতাধিক নৌকা অংশ নেয় বিসর্জন ঘিরে হওয়া নৌকা শোভাযাত্রা দেখতে ছোট যমুনা নদীর দুই পাড়ে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে নওগাঁ শহরের মাঝ দিয়ে যাওয়া ছোট যমুনানদীতে এমন নৌ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। নওগাঁ শহরের লিটন বিজিবি ব্রিজ থেকে পালপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত নদীর বুকে প্রায় ৩ কিলো- মিটার অংশ জুড়ে প্রতিমাবাহী পারিবারিক ও বিভিন্ন সংগঠনের দুই শতাধিক নৌকা এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। বিকেল ৩টার পর থেকে নদীর বুকে ছুটে চলা নৌকায় ঢাকের শব্দ এবং মাইকের গানের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠে তিন কিলোমিটার এলাকা। নদীর দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে সব ধর্মের নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর এ দৃশ্য উপভোগ করেন। নৌ শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় ছোট যুমনা নদীর দহের ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।এরআগে, দুপুরে পর থেকেই নওগাঁ সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পূজা মন্ডপে দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ার পর শুরু হয় ভক্তদের সিঁদুর খেলা। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীরা একে অন্যকে রাঙিয়ে দেন সিঁদুরে। চলে ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ছোট যমুনা নদীর দু’পাড়সহ শহর জুড়ে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শান্তিপূর্ণভাবে এ বছরের মতো শেষ হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। এ বছর জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ৭৫৪টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দশভুজা দেবী দুর্গা, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাঁকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। তাঁর এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। দোলায় বা পালকিতে আগমনের পর এবার দেবী দুর্গার গমন হয় ঘোটেক বা ঘোড়ায়।
নওগাঁ #