নকলায় বন্যার্থদের মাঝে একাধারে ৪দিন ধরে ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছেন মোবারক হোসেন মিন্টু
একাধারে কয়েকদিন ভারি বর্ষনে উজান থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলার নকলা,নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে একের পর এক বসতভিটা, শত শত একর ফসলের জমি। ভেসে গেছে বহু গরু, ছাগল, হাস, মুরগি। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর ৯৫% ও নকলা উপজেলায় ২০% এলাকার মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন অতিবাহিত করতেছে। সর্বনাশা বন্যায় জেলায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ জন। এই ভয়াবহ অবস্থার কথা শুনে বসে থাকতে পারেনি বিএনপির অন্যতম নেতা, পাঠাকাটা ইউনিয়নবাসীর আস্থার প্রতিক, সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সৈনিক, ন্যায়ের মুর্ত প্রতিক, মানবতার ফেরিওয়ালা, জনতার চেয়ারম্যান মো: মোবারক হোসেন মিন্টু। তিনি একাধারে নকলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, উপজেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য, ৬ নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সম্পাদকের দ্বায়িত্বে আছেন। তাঁর হৃদয় সর্বদায় গরীর দুঃখীদের জন্য কাঁদে। তিনি একদিন, দুই দিন নয়, তিনি একাধারে ৮,৯,১০,১১ অক্টোবর চার দিন ধরে বানভাসিদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে কোমর পানিতে নেমে নিজ মাথায় ত্রাণের বস্তা নিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি ১ নং গনপদ্দী ইউনিয়নের বিহারীর পাড়, মেদীর পাড়, ২ নং নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৩ নং উরফা ইউনিয়নের তারাকান্দা আশ্রয়কেন্দ্র,উরফা এলাকা, লয়খা এলাকা এবং পৌরসভার ভিতর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন। তিনি শুকনো খাবারের পাশাপাশি রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করেন আশ্রয় কেন্দ্রতে।
ত্রাণ বিতরণকালে মোবারক হোসেন মিন্টু’র সাথে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেছেন, নকলা পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক ছানোয়ার হোসেন অভি, ঢাকা মহানগর ছাত্রনেতা এসে.এম.লিখন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল সাত্তার, যুগ্ন আহ্বায়ক মর্তুজ আলী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, ৬ নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান রাজ, ১ নং গনপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক, মো: মনিরুল ইসলাম, ৩ নং উরফা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো: খোকন মিয়া, ২ নং নকলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হৃদয় হাসান, পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো: রাসেল মিয়াসহ ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মোবারক হোসেন মিন্টু বলেন, নকলা উপজেলায় যতদিন বন্যা থাকবে আমার সাহায্যও ততদিন অব্যাহত থাকবে। শুধু তাই নয় বন্যা পরবর্তী পুনর্ভাসন কাজেও আমি যথাসাধ্য এগিয়ে আসবো। তিনি দেশবাসীর কাছে শেরপুরের বন্যার্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন।
চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ৬ নং পাঠাকাটা ইউনিয়নে আমি ২ বার চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছি। হাজার হাজার মানুষের সমর্থন নিয়ে বিপুল পরিমাণ ভোট পাওয়া সত্বেও আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারিনি। ইউনিয়নবাসীর সকল বিপদ আপদে আমি সর্বদায় পাশে থাকি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। জনগণ যদি আমাকে ভালোবেসে সমর্থন করে তাহলে আমি সামনের ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।