”আজ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ চড়ারহাট গণহত্যা দিবস”
মহান মুক্তিযুদ্ধে দিনাজপুর জেলায় সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যার ঘটনা ঘটে “১০-অক্টোবর ১৯৭১সাল চড়ারহাট।
এই দিবসটি কোন রাজনৈতিক দল পালন করেন না, ২০২১ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানার থেকে পালন করা হয়েছিল, সাবেক সভাপতি একরামুল হক আবিরের নেতৃত্বে।
সাবেক সভাপতি একরামুল হক আমিন বলেন আজ ১০ই অক্টোবরের জেলা প্রোগ্রামের জের ধরে প্রথমবারের মত সাবেক হুইপ ইকবালের নির্দেশে ২০২১ এর ছাত্রলীগের ৯/১০ জনসহ সাধারন সম্পাদক গোলাম ইমতিয়াজ ইনান এর নেতৃত্বে আমাকে একা পেয়ে ইচ্ছেমত পিটানো হয়। শিবির ট্যাগ দিয়ে আরও বেশি মারা হয়। সেই ছাত্রলীগের ছেলেগুলোর অবয়ব এখনো ভাসে!
আজ নবাবগঞ্জ উপজেলার বিখ্যাত চড়ারহাট গণহ*ত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের সেই সকল বীরদের প্রতি সহস্র সালাম। যেই ৭১ এর চেতনা নিয়ে আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল,খৎ সেই আওয়ামীলীগ এই দিনটিকে স্বরণ করতো না। ২৪ এর জুলাইয়ের মত ৭১র আমাদের মননে ছিল। তাই জেলা সভাপতি হিসেবে দিনটি স্বরণে ছাত্রদের পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচি দেই। শুরুতে প্রশাসন দফায় দফায় বাঁধা সৃষ্টি করে। সবকিছুকে মাড়িয়ে প্রোগ্রাম সফল করি। পুরো দিনাজপুরের ফ্যাসি*স্টদের গাত্রদাহ শুরু হয়। পরদিন একা পেয়ে হামলে পড়ে আমার উপরে। আওয়ামী ফ্যাসি*স্টদের বিরুদ্ধে ২৪এ নতুন করে জেগে ওঠা হয়নি। এই রেজিমের বিরুদ্ধে আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ২৪ পেয়েছি।
আর ১৯৭১ সালের ১০ই অক্টোবর চড়ার হাঁট গণহ*ত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ২০২১ এর প্রোগ্রামে যুব, শ্রমিকের কোনো ভূমিকায় ছিলনা। বরং তাঁরা বিভিন্ন উপজেলার ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে আসতে বাঁধা সৃষ্টি করেছিল। যার কলকাঠি নাড়তো ঢাকায় বসে থাকা সুদিনের কিছু হাইব্রিড। যাঁদের উদ্দেশ্যই হিংসা লালন করা। এসব প্রতিহিংসা দেখতে দেখতেই সংগঠন থেকে আড়ালে যাওয়া। কোনো অভিমান নয় বরং চর্তুমুখী নোংরামী আবার সেই মানুষগুলোর সিন্ডিকেটকে জবাবদিহিতায় না নিয়ে আসা।
বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ এই সমস্যা বিরাজমান। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যক্তির হিংসা নামক বিষাক্ত চিন্তার নির্যাস শুকাতে হবে। তাহলে রাজনীতি থেকে অপরাজনীতি শব্দটা দূর হবে।