ড. হাছান মাহমুদকে নিয়ে দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক “কালের কন্ঠ”- পত্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ কে নিয়ে “বেপরোয়া দখলবাজি হাছান মাহমুদের” শিরোনাম শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, ফরমায়েশীমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকায় উচ্চ শিক্ষিত সাবেক একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি/আমরা এই4 সংবাদের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদটি বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় যে, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলানোর সুযোগে গত কিছুদিন ধরেই একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ড.হাছান মাহমুদ এর নামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য সংবলিত সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত সংবাদটি প্রকৃতপক্ষে সে সকল সংবাদের কোলাজরূপ। কোনরূপ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ব্যতীরেখে এবং যিনি/যার নামে সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছে তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ কিংবা মতামত না নিয়ে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী। এবং সংবাদের বিভিন্ন অংশেই উল্লেখ করা হয়েছে “বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে”। যা অত্যন্ত হাস্যকরও বটে। এতেই সংবাদটির বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে? সুতরাং সংবাদটি সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ব্যক্তি বিশেষকে সামাজিক ভাবে হেয় করবার প্রয়াসে বর্ণিত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ ইতিপূর্বেই তাকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদের প্রতিবাদে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এবং তিনি চ্যালেঞ্জ করেই বলেছেন দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমিও তিনি অবৈধভাবে অর্জন/ দখল করেননি । তার নির্বাচনী হলফনামা এবং ট্যাক্স ফাইলেই সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিশ্লেষণ উল্লেখ আছে। শ্বশুরবাড়ির জায়গায় ডেভেলপার কর্তৃক নির্মাণাধীন ভবনকে হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করার মাধ্যমেই বোঝা যায় সংবাদটি মনগড়া।
কর্ণফুলী নদীর পাড়ে এফএমসি ডকইয়ার্ড দখলের যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সে ডকইয়ার্ডের চেয়ারম্যান একজন পেশাদার ঋণখেলাপী ও প্রতারক। মূলত ১২০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপীর দায়ে ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত ডক ইয়ার্ডটি দখলে নিয়েছিল। ইয়াছিন চৌধুরীর নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক প্রতারণার মামলাও আছে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে তার ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদ বনবিভাগের জায়গা দখল করেছিলেন। এ ধরনের সংবাদ এর আগেও প্রকাশিত হওয়ার কারণে এরশাদ মাহমুদ প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। তিনি প্রতিবাদলিপিতে জানিয়েছেন তিনি বন বিভাগ থেকে জায়গা লিজ নিয়েছিলেন। উল্লেখ করা যায় যে, বন বিভাগ সারা দেশেই যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি জায়গা লিজ দিতে পারে। এতে সরকারও রাজস্ব পায়। অতএব দৈনিক কালের কন্ঠের সংবাদটি যে কোনরূপ নিরীক্ষা এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কপি-পেস্টের আশ্রয় নিয়েছে তা প্রতীয়মাণ।
সংবাদটিতে আরো প্রকাশ করা হয়েছে যে হাছান মাহমুদ তার নির্বাচনী এলাকায় স্থানীয় নির্বাচনে নিজের পছন্দমতো প্রার্থী দিতেন। অথচ তার নির্বাচনী এলাকায় প্রান্তিক অর্থাৎ ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়েছিল তৃণমূলের ভোটেই। এমনকি সং্খ্যালঘু ব্যক্তিও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।