হরিণাকুন্ডুতে দেবর ও ভাতিজার কোদালের আঘাতে প্রবাসীর স্ত্রী মারাত্মক জখম।
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর শাকের-দাঁ চাঁদপুর গ্রামে দেবর ও দেবরের ছেলে (ভাতিজা)’এর কোদালের আঘাতে মারাত্মকভাবে প্রবাসীর স্ত্রী জখম হয়েছে।
জানা যায় শাকের-দাঁ চাঁদপুর গ্রামে আমির হোসেনের পুত্র উজ্জল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে দুবাই প্রবাসী। বাড়িতে তার স্ত্রী রুপালি খাতুন (৩৭) সন্তান মিসকার হোসেন কে নিয়ে থাকে। প্রবাসী উজ্জলের ছোট ভাই তুহিন হোসেন(৪৫) সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে সব সময় ভয় দেখিয়ে পিতৃ সম্পত্তির অধিকাংশ দাবি করে আসছিল। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে তুহিন হোসেন রূপালী খাতুনের সাথে জমি জমা সক্রান্ত বিষয়ে কলহ সৃষ্টি করে। এবং কলহের একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তুহিন এর হুকুম মোতাবেক তার পুত্র পারভেজের হাতে থাকা কোদাল দিয়ে চাচি ( রুপালি খাতুন )এর মাথায় সজরে কোপ মারে এবং উক্ত কোদালের আঘাতে তিনি (রুপালি খাতুন) মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দেবর তুহিন ও ভাতিজা (তুহিনের পুত্র ) পারভেজ মিলে উপর্যপুরি হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করতে থাকে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী একজোট হয়ে প্রতিরোধ করলে আঘাতকারীরা পিছু হটে।এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুত্র মিসকার হোসেন তার আহত মা (রুপালি খাতুন) কে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হসপিটালে ভর্তি করে। বর্তমানে রুপালি খাতুন মাথায় সাতটি সেলাই নিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। হসপিটালের কর্তব্য রত চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি এখনো আশঙ্কা মুক্ত নন।
এ বিষয়ে প্রবাসী উজ্জল হোসেনের পিতা আমির হোসেন জানান, আমার ছেলে অত্যন্ত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।সে একটা কুলাঙ্গার সে আমাকে পর্যন্ত মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সে আমার সমুদয় সম্পত্তি একাই আত্মসাৎ করতে চায় অথচ আমার আরো সন্তান আছে । তার ভয়ে আমি ১৭ বছর গ্রামের বাড়িতে যেতে পারি না ঝিনাইদহে অতি কষ্টে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। পরিবারের সবার সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুতই তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা করব।
এ বিষয়ে হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম কোন অভিযোগ এখনো পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি, অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।