শ্রীমঙ্গলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো.আব্দুস শহীদকে প্রধান আসামী করে মামলা।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো.আব্দুস শহীদকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হয়।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনে গণহত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচী চলাকালে কৃষিমন্ত্রীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের হুকুমে ছাত্রলীগ যুবলীগের সশ্বস্ত্র নেতাকর্মীদের হামলা,জখম করা,বাড়িঘর ভাংচুর,নগদ অর্থ,স্বর্নলংকার লুটপাটের অভিযোগ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,২নং আমল আদালতে এ দুটি মামলা রুজু হয়। মামলা নং- সি/আর ৪২৩/২৪ইং (শ্রী) ও সি/আর ৪২৪/২৪ইং (শ্রী)।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহররের কালিঘাট রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার ও কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ের এইচ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্র একই এলাকার শাহদাত হোসেন পৃথকভাবে মামলা দুটি দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন,সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়,মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক,শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দ্র কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক জগৎ জ্যোতি ধর শুভ্র ,শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. ইউসুফ আলী, সহ সভাপতি ডা. হরিপদ রায়, যুগ্ম সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আকরামুল হক সোহাগ, আবিদ হোসেন তানভীর, সাবেক পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কায়েস আহমেদ, কৌশিক ভট্টাচার্য্য, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল দাস, আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ, কৃষকলীগ নেতা বদরুল আলম শিপলু, শ্রমিক লীগ নেতা মো. শাহজাহান মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মামুন আহমেদ, পৌর যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন সাহিন, ছাত্রলীগ নেতা মোশাহিদ মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইদুর রহমাস সুজাদ, ছাত্রলীগ নেতা আইবুর রহমান আকাশ, আজিজুর রহমান নাঈম,
মো.আজমান মিয়া,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকাশ দেব জুয়েল, যুবলীগ নেতা শেখ নোমান, কাউসার আলী,হারুনুর রশিদ, ফয়সল আলী, সজিব হোসেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুতি বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজু, কৃষকলীগনেতা শহীদ মিয়া,জুবায়ের আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ মিয়া, যুবলীগ নেতা ছাত্রনেতা সাদিকুল ইসলাম,মো.আজমান মিয়া ও আইবুর রহমান আকাশ।
মামলা দুটিতে শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।