যৌথবাহিনী চাপের মুখে শান্তিপ্রিয় মানববন্ধন এ বাধা সৃষ্টি করে।
গতকাল ২০ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় চরেরহাট এলাকাবাসী, চরেরহাট ঘাটে ঘুরতে আসা পর্যটক,চরের হাট ঘাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সকল ব্যবসায়ী ব্যক্তিবৃন্দ।তাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক চরেরহাট ঘাট এর অবৈধ জবর দখলের বিপক্ষে।
গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ ইংরেজি তারিখে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরে,বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিতুমীর নৌওজা খালিশপুর খুলনা আওতাধীন বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাদের সিমানা বর্ধিতকরণের উদ্দেশ্যে গত ২৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখ সকাল বেলা চরের হাট ঘাটে কিছু সংখ্যক সরকারি জায়গা প্রায় ৬.৬৬ একর সরকারি খায় জায়গা এবং ১.৮৬ একর আই ডব্লিউ টি এর চরের জমি, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী জবরদখলের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে এলাকার স্থানীয় জনগণ, ঘুরতে আসা পর্যটক, চরের হাট ঘাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির লিমিটেডের সদস্যগণ এ ব্যাপারে অভিযোগ আকারে লিখিত অভিযোগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, মহাপরিচালক এনএসআই, মহাপরিচালক ডিজিএফআই, মহাপরিচালক আন্ত বাহিনীর গণসংযোগ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক খুলনা, বিভাগীয় কমিশনার খুলনা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খুলনা সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ কমিশনার কে এমপি, যুগ্নু পরিচালক বিআইডব্লিউটিএ, পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর, পরিচালক বিএডিসি বরাবর একটি অভিযোগ স্মারক আকারে লিপিবদ্ধ করে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণ পর্যটক ও চরেরহাটঘাট ব্যবসায় সমবায় সমিতির লিমিটেড সকল সদস্যগণ এই ব্যাপারে উক্ত ব্যাপারে একটি মানববন্ধনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পে পুলিশ কমিশনারের নিকট মানববন্ধনের অনুমতি চেয়ে একখানা দরখাস্ত আবেদন করেন, উক্ত আবেদনটি অনুমোদনের সাপেক্ষে গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোজ শুক্রবার দুপুর ৩ ঘটিকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর।
স্থানীয় এলাকাবাসী, পর্যটকগণ,চরেরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সদস্যগণ শান্তি প্রিয় মানববন্ধনে শুরু করলে যৌথ বাহিনী চাপে সে মানববন্ধন পন্ড হয়ে যায়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এনপি কোরের সিও এবং খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে আসা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিনীত অনুরোধে মানববন্ধন থেকে পিছু হাঁটতে বাধ্য হয় মানববন্ধনে লোকজন।
তখন ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসায়িক বিভিন্ন ভালো-মন্দ এবং সাধারণ পর্যটকগণ তাদের বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা হয়। কথার এক সর্বশেষ পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে আশা দেন আগামী রবিবার অর্থাৎ ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে উক্ত ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক মহোদয় কে সঙ্গে নিয়ে এ ব্যাপারে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন রকম প্রশ্নের উত্তর দেন তার মধ্যে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, উক্ত দখলকৃত জমিটি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট থেকে কিসের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী জবর দখলের চেষ্টা করছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোন প্রকার সদুত্তর না দিয়েই চলে যায়।