রাজগুরু ইন্দচারা মহাথেরো আর নেই
রাঙ্গুনিয়া রাজানগর শাক্যমুনি রাজ বিহারের অধ্যক্ষ,রাজগুরু ভদন্ত ইন্দাচারা মহাস্থবির (৮৭) আর নেই । (অনিচ্চা বত সাংখারা…)
গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে নিজ বিহারে পরলোকগমন করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমারাণী ধর্মশীলা কালিন্দীরাণী পৃষ্ঠপোষকতা চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়ায় শাক্যমুনি মন্দির স্থাপন করেন ও রাজানগরে বিশুদ্ধ থেরবাদ আদর্শের ভিক্ষুসংঘের মাধ্যমে ভিক্ষুসীমা স্থাপন করেন। বঙ্গে সদ্ধর্মের পুনঃ জাগরণ সয়য়ে ইহা প্রথম বিনয়সমম্মত বিশুদ্ধ বন্ধসীমা হিসাবে খ্যাত। ঐতিহাসিক পুন্যতীর্থ রাজানগর শাক্যমুনি রাজ বিহারে রাজগুরু মহাপন্ডিত , বহু গ্রন্থ প্রণেতা ও অনুবাদক ধর্মরত্ন মহাস্থবির সহ বহু পুণ্যপুরুষ অবস্থা করে এই ঐতিহাসিক পুণ্যতীর্থ ধন্য করেছে। সময় ও কালের বিবর্তনে রাজশক্তির পরিবর্তন হলেও এই পূর্ণ্যময় ঐতিহাসিক স্থানকে এখনো ধরে রেখে ছিলেন রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সহ-সভাপতি, রাঙ্গুনিয়া ত্রিপিটক শিক্ষা পরিষদ ও বৃহত্তর রাজানগর আঞ্চলিক ভিক্ষু পরিষদের সভাপতি, ঐতিহাসিক পুন্যতীর্থ রাজানগর শাক্যমুনি রাজ বিহারের অধ্যক্ষ, রাজগুরু ভদন্ত ইন্দাসারা মহাস্থবির । বহুকাল ধরে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে এই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করে রাখার আত্মপ্রত্যয়ে তিনি সবসময় ছিলেন নিবেদিত ছিলেন। বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যেও তিনি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে কখনো চলে যায়নি তাঁর বিবেক-বুদ্ধি ,মেধা-প্রজ্ঞা ও চাকমা রাজা সহ ভিক্ষুসংঘ ও দায়ক-দায়িকাদের সহযোগিতা নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে তিনি রক্ষা করে চলেছেন। বহু সংস্কার কাজও সম্পাদনা করেন।
রাজগুরু ভদন্ত ইন্দ্চারা মহাস্থবিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও নির্বাণিক শান্তি কামনা করেছেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড জিনবোধি ভিক্ষু। তিনি বলেন, পরম শ্রদ্ধেয় ও কল্যাণ মিত্র রাজগুরুর মহাপ্রয়াণে বৌদ্ধ সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি ও শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তা সহজেই পূরণ হবার নহে। তার মতো শান্তশিষ্ট, বিনয়শীল ও আদর্শ ভিক্ষু বর্তমান সময়ে খুবই বিরল।থেরবাদ বৌদ্ধধর্মের পুণ: প্রতিষ্ঠার অন্যতম সূতিকাগার রাজানগর রাজ বিহারের দুঃসময়ের কান্ডারী হিসাবে যে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তা অনস্বীকার্য। মহান এই পূর্ণ পুরুষের নৈর্বাণিক শান্তি কামনা করেন তিনি।