June 17, 2025, 7:08 am
শিরোনামঃ
গফরগাঁওয়ে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা,পরিবারে শোক, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দুই জলদস্যু নজির গাজী (৪৯) ও দিদারুল ইসলাম (৩৮)–কে আটক করেছে পুলিশ। রাজশাহীতে করোনা সনাক্ত। নীল দরিয়ায় ঘুরতে আসলাম এক নারী উপরে অতর্কিত হামলা ও গলা থেকে স্বর্ণের চেন ছিনতাইয়ের ঘটনা উঠে এসেছ । খুলনায় শুরু হয়েছে খুনের মেলা, তাইতো খুলনায় বিভিন্ন স্থানে ৪৭ দিনে ১৮ খুন । ডাক পেলো ২৮তম ব্যাচ ,ডিসি ফিট লিস্টের জন্য। বিপাকে পথচারীরাবিপাকে পথচারীরা,কয়রায় রাস্তার রয়েছে কাটাযুক্ত গাছের ডাল। সেবা নিশ্চিতে কেসিসির উদাসিনতার অভিযোগ তুলে বিএনপির উদ্বেগ। নরসিংদীর মাধবদীতে প্রেমিক সুমনের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার ৩ দিন পড় প্রেমিকা সুবর্ণাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজার দর্শন ও জিয়ারত।

রাঙ্গুনিয়ার কথিত সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের নামে অভিযোগের পাহাড় : ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় নিরিহ মানুষের ঘুম হারাম!

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম

রাঙ্গুনিয়ার কথিত সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের নামে অভিযোগের পাহাড় : ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় নিরিহ মানুষের ঘুম হারাম!

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। কথিত সাংবাদিক পরিচয় বহন করে রাঙ্গুনিয়াসহ উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়সম অপরাধ করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে একটি ফৌজদারী মামলাও রুজু হয়। এই মামলায় কতিথ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমসহ
আরো কয়েকজনকেও আসামি করা হয়। আসামীরা হলেন শহীদুল ইসলাম (বাপ্পা), সিরাজুল ইসলাম (বাবলু), লাকি আক্তার। তারা সকলে জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মেয়ে। পিতা জাহাঙ্গীর আলমের অন্যতম সহযোগি ও হোতা হিসেবে নানা অপরাধের সাথে জড়িত। অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমসহ আসামীরা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগরের নিছারমারবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মামলার বাদী সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম (৩০) দীর্ঘদিন ধরে লালানগরের নিছারবাড়ি এলাকায় পৈত্রিক ভিটা বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। বাদী একজন নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল লোক হলেও জাহাঙ্গীর আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও নির্যাতিত। এছাড়াও মামলার বাদী একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ীও।
মামলার বাদী গণমাধ্যমকে জানান ও লিখিতভাবে আদালতে বলেন আসামীগণ প্রতারক, পরধন লোভী, ভূমিদস্যু, দখলবাজ, ধান্দাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাদের সুনির্দিষ্ট কোন পেশা না থাকায় অপরের সম্পত্তি গ্রাস করা তাদের নেশা ও পেশা হয়ে ওঠে। তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতেও বিভিন্ন মামলা চলমান আছে। অভিযোগকারী আরো জানান আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে বাদিকে তার মালিকানাধীন জায়গা ছেড়ে দিতে হুমকি দিয়ে আসছে। বাদি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে এবং স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের জানালে আসামিরা বাদীর প্রতি আক্রোশ পোষন করতে থাকে এবং বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করাসহ সন্ত্রাসী দিয়ে জায়গা দখল ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। গত ৩১ জুলাই বাদীর পৈত্রিক জায়গায় আসামিরা বাদীর পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে বাদী এবং বাদীর পরিবারের লোকজন ও আশেপাশের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। আহতের মধ্যে বাদীর চাচাত ভাই আনিস, নেজাম, পলাশ গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিল দীর্ঘদিন ধরে। সন্ত্রাসী কতিথ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এ ঘটনা চালায়। হামলা চলাকালে নিবৃত্ত করতে আসা লোকজনকেও এলোপাতাড়ি লোহার রড দিয়ে মারাত্নকভাবে জখম করে এবং আহত ব্যক্তিরা মাটিতে লুটে পড়লে হত্যার উদ্দেশ্য গলা টিপে ধরারও অভিযোগ ওঠেছে। এতে বাদীর অনেক ক্ষয়ক্ষতিও হয়। ঘটনাস্থলে শৌর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিবাদী জাহাঙ্গীর আলম ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা বাদীর পরিবার ও সাক্ষীদের গালিগালাজ ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে স্হান ত্যাগ করেন। বাদীর পৈত্রিক জায়গা দখল করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে এবং বাদী পক্ষকে গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে । বাদীর পৈতৃক সম্পত্তির সীমানা পিলার তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। হুমকির কারনে এলাকায় বসবাস করতে বাদীপক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে বলে জানান।
তিনি গণমাধ্যমকে আরো জানান ভুমিদস্যু, নারী নির্যাতনকারী ও ব্রিক ফিল্ডের চাঁদাবাজ জাহাঙ্গীর আলম ও মাদক চোরাকারবারী তার ছেলেদের অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের বেরিবাধ এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম তার আপন ভাই-বোনের জায়গা দখল, হয়রানি ও হেনস্তা করারও অভিযোগ উঠেছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবৈধ দলিল সৃজন করার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও জায়গা দখল করে আসছে।নিজেকে আওয়ামী লীগের দালাল পরিচয় দিয়ে আত্মীয় স্বজনদেরও গুম ও হত্যার হুমকি দিয়ে নির্যাতন ও মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে। নারী নির্যাতন ও প্রতারণার জন্য চট্টগ্রামেরনহাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় এফআইআর নং-০৬, তারিখ-০৭/০২/২০১৩ও এফআইআর নং-১২,
তারিখ -২৮/১২/২০০৯ সময়-ধারা-১০(১)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, এজাহারে অভিযুক্ত হয়ে সাজাও ভোগ করেন অভিযুক্ত ও কতিথ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম।
একসময় ভাইয়ের দোকান থেকে টাকা চুরির জন্য গণপিঠুনীর শিকার হয় খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে। এরপর রাঙ্গুনিয়ায় এসে শুরু করে ব্রিক ফিল্ডগুলোতে গণহারে চাঁদাবাজি। তার বড় ছেলে শহিদুল ইসলাম (বাপ্প) ও ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলাম (বাবলু) ইয়াবা ব্যবসা ও মাদক চোরাকারবারি করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে উঠেছে। আয়ের উৎস না থাকলেও অঢেল সম্পদের মালিকও বনে গেছেন জাহাঙ্গীর আলম। মাজারের স্বর্ণের বাটি চুরি করে গণপিঠুনিও খেয়েছিলেন বাপ্পা। অবৈধ নারী নিয়ে হোটেলে মগ্ন থাকেন বলেও অনুসন্ধানে জানা যায়। জাহাঙ্গীর আলমের ছোট মেয়ে বাবলী আক্তার আত্মীয়র বিয়েতে স্বর্ণ চুরি করে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
সৈয়দ আনিসুল ইসলাম ও তার ভাইরা দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি এলাকায় সরকার নিবন্ধিত লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। উক্ত ব্যবসায় তাহার চাচা জাহাঙ্গীর আলমের কুদৃষ্টি পড়ে। এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম তার ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন রকমের গুজব ছড়াতে থাকে এবং গত ৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম অনলাইন পত্রিকায় ও এর আগে দৈনিক শাহ আমানত পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। সৈয়দ আনিসুল ইসলাম ও তাদের ভাইদের বিভিন্নভাবে সম্মান খুন্ন করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ জানান। তারা দ্রত জাহাঙ্গীর আলমসহ তার ছেলেদের আইনের আওতায় আনতে জোর দাবি জানান প্রশাসনের প্রতি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা
Skip to toolbar