নওগাঁর ধামইরহাটে সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিবিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁর ধামইরহাটের আড়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তি নিশ্চিতের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ধামইরহাট-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলা ক্যান্টিন চত্ত¡র এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ইউনিয়নের প্রায় সহসতাধিক ভুক্তভোগি পরিবার, সচেতন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন।আড়ানগর ইউনিয়নের সচেতন এলাকাবাসী, ভুক্তভোগি পরিবার ও ছাত্র সমাজের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো.শাহাজাহান আলী কমল ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো.মোসাদ্দেকুর রহমানের বিরুদ্ধে এলাকার অসংখ্য মানুষ অভিযোগ করে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। দুই চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া, মানবপাচার মামলা জড়ানোর ভিতি, দোকানপাট ও বসতবাড়ী নির্মাণ করতে চাঁদা গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি, জমিজমা সংক্রান্ত মামলার রায় পক্ষে দেয়ার নাম করে জোর পূর্বক চাঁদা নেয়ার অভিযোগ করা হয়। টাকা না দিলে বিভিন্ন মামলায় জড়ানের ভয় দেখানো হতো বলেও অভিযোগ করেন। মানববন্ধনে ভুক্তভোগি পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশুরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে সেননগর গ্রামের মো.আরিফ হোসেন বলেন, শাহাজাহান আলী কমল চেয়ারম্যান তাকে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়ার নাম করে সাড়ে ৯ লাখ গ্রহণ করে। কিন্তু কয়েক বছর হলো তাকে চাকুরীও দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়নি। চকভবানী গ্রামের আবুল কালাম বলেন, তাকে অন্যায়ভাবে কমল চেয়ারম্যান মানবপাচার মামলায় জড়িয়ে ১২ লাখ টাকা আদায় করে। রামনারায়ণপুর গ্রামের আবু তাহের বলেন, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মাদকসেবী মো.মোসাদ্দেকুর রহমান জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারে তার কাছ থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা নেয়। পলাশবাড়ী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটিতে পদ দেয়ার নাম করে বর্তমান চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান তার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা আদায় করলেও তাকে পদ দেয়া হয়নি। তাছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান মো.মোসাদ্দেকুর রহমান একজন মাদকসেবী, ইউনিয়ন পরিষদে বসে সে মাদক গ্রহণ করে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। মোসাদ্দেকুর রহমান এলাকায় দেখা গেলেও সাবেক চেয়ারম্যান মো.শাহজাহান আলী কমল ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তার অত্যাচারে পুরো ইউনিয়নবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে দুই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার পূর্বক তাদের শাস্তির দাবী জানান ইউনিয়ন ও সচেতন এলাকাবাসী।
তবে ৫নং আড়ানগর ইউনিযয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর মুঠোফোনে বলেন ‘আমি কারো নিকট থেকে কোন অর্থ আত্মসাৎ করি নাই, অর্থ গ্রহণের তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে আমি তা পরিশোধ করে দেবো। এবং সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজান আলী কমল এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি এসব অস্বীকার করে অভিযোগ অযৌক্তিক এবং মিথ্যা বলে দাবি করেন, তাহলে এতগুলো মানুষ কেন মানববন্ধন করলো এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দেন নি।