পাঁচবিবির কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বৈকাল ৪.০০ টায় পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের ইসলামীর উদ্যোগে এক বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
করা হয়েছে।
কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর আবু ইউসুফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন সেক্রেটারী সোঃ ওমর ফারুক এর সঞ্চালনায় উক্ত বিশাল কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব ডাঃ ফজলুর রহমান সাঈদ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলান গোলাম কিবরিয়া মন্ডল ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য ও পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাঃ মোঃ সুজাউল করিম, জয়পুরহাট সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ ইমরান হোসেন,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয়পুরহাট জেলা সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন।
এছারাও বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মোঃ শফিকুল ইসলাম মাষ্টার,অধ্যাপক আজিজুল হক ঠান্ডা,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ আবু সুফিয়ান (মুক্তার),সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আবু রায়হান,উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম,উপজেলা কর্মপরিষদের অন্যতম সদস্য ও পৌর আমীর মাওলানা আবুল বাশার,ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি ও ধরঞ্জী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোঃ সাজেদুর রহমান সরকার সাজু,ছাত্রশিবিরের পূর্ব সাংগঠনিক থানা শাখার সভাপতি হাফেজ মোঃ রুহুল আমীন,ছাত্রশিবিরের পশ্চিম সাংগঠনিক থানা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুল মুকিত,বিভিন্ন ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল বৃন্দ।
এ সমাবেশে ইউনিয়ন জামায়াতে ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি ডাঃ ফজলুর রহমান সাঈদ বলেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) যে আদর্শের মাধ্যমে তার সাথীদেরকে উন্নত নৈতিকতায় সমৃদ্ধ করে একটি সোনার রাষ্ট্র তৈরী করেছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সেই আদর্শকে ধারণ করে এদেশে একদল মানুষকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।আমরা সমাজের সকল সেক্টরে সৎ,যোগ্য ও দক্ষ লোক তৈরী করতে চাই। জামায়াত কর্মী মানেই সমাজকর্মী ফলে সামাজিক কাজের মাধ্যমে মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রক্ত ভেজা জনতার প্রিয় কাফেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে পরাজিত করতে চেয়েছিল। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা মনে করেছিল যে, জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিলেই জামায়াতে ইসলামীর নাম এদেশ থেকে মুছে যাবে। কিন্তু না, আমাদের নেতৃবৃন্দ হাঁসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন সহ্য করে আমাদের একজন কর্মীও এদেশ থেকে পালায়নি কিন্তু স্বৈরশাসক হাসিনা ১৫ সেকেন্ডও টিকতে না পেরে ভারত পালিয়ে যান।