ফরিদপুর নগরকান্দায় বিকাশ ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের দূরতা হাটি গ্রামে মৃত আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৮) কে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আলমগীর মোল্লা উপজেলার রসুলপুর বাজারে ৩ বছর ধরে বিকাশ ও মোবাইল রিচার্জের দোকান করে ব্যবসা করে আসছে।
নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন,
৩০ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১ টায় আমার ভাই আলমগীর মোল্লা তার স্ত্রী রাহিমাকে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতেঁ বাড়িতে না ফেরায় ও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় নগরকান্দা থানায় একটা জিডি করা হয়েছে ।৩১ আগস্ট শনিবার সকাল অনুমান ১১ টার সময় মোবাইলে আলমগীরের গলাকাটা ছবি সহ এলাকার মানুষ দেখতে পেয়ে আমাদের জানায়। আমরা খোজ নিয়ে জানতে পারি আমার ভাই আলমগীর এর গলাকাটা লাশ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ মোড়ের আশপাশের এলাকা থেকে গোয়াালন্দ থানা পুলিশ উদ্ধার করে।এই সময়ের মধ্যে রসুলপুর বাজারে গিয়ে জানতে পারিি সে একটি অটোগাড়িতে চড়ে তালমার দিকে গেছে।বাড়ি ও বাজারের লোকজনদের কাছে জানতে পারি আমার ভাই আলমগীর মোল্লার সাথে পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার গট্রি ইউনিয়নের চন্দ্র পাড়া গ্রামের ইউনুস ওরফে ইনু খন্দকারের মেয়ে জামাতা হারন মোল্লার সাথে বন্ধুত্ব।হারনের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কাশিমা গ্রামে তার পিতার নাম মোনতাজ আলী মোল্লা। হারনের স্ত্রী চামিলি বেগম বলেন ঘটনার দিন সকাল ৯ টার সময় আমার স্বামী আমার বাবার বাড়ি চন্দ্রপাড়া থেকে বের হয়ে কোথায় গেছে জানিনা তার ফোন বন্ধ রয়েছে। মোবাইলে পরিচয় হয়ে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে পরে জানতে পারি সে আমার আগে মধুখালী একটা বিয়ে করেছে। পোস্টমর্টেম শেষে শনিবার রাত ৮ টায় লাশ বাড়িতে এনে দাফন সম্পুর্ন করেন।