নাটোরে চাঁদা না দেওয়ায় ঔষধ কারখানা বন্ধ
নাটোরের বড়াইগ্রামে গড়মাটি জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মোঃ মোজাফফর হোসেন এর নিকট হয়তে চাঁদা দাবী করার প্রতিবাদে এবং চাঁদাবাজ চিহ্নিত সন্ত্রাসী রওশন প্রাং ও সাইফুর রহমান সেন্টুদের শাস্তির দাবিতে বনপাড়া একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেনী ল্যাবরেটরির স্বত্বাধিকারী মোজাফফর হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া তানজিম মৌ বলেন জেনি আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি” নামে আমাদের একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার স্বত্বাধিকারী আমার পিতা আলহাজ্ব মোঃ মোজাফফর হোসেন, প্রতিষ্ঠানটি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলাধীন গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি নামক স্থানে। কিন্তু! অত্যন্ত পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে আমাদের আয়ুর্বেদিক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছে একই এলাকার মোঃ রওশন প্রামানিক ও মোঃ সাইদুর রহমান সেন্টুসহ স্থানীয় কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা আমার পিতার কাছে সরাসরি ও ফোন কলের মাধ্যমে ০৮ (আট) লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, যাহার তথ্য প্রমান আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। আমার পিতা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমাদের মালামাল বহনকারী বেশ কয়েকটি পরিবহন রাস্তার পাশে ফেলে দেয় তারা। এছাড়াও আমাদের প্রতিষ্ঠানের মহিলা সহ সকল কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে তারা। ফোন করে সন্ত্রাসী রওশন প্রামানিক জানান, ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা দিলে সকল পেরেশানি মূলক কার্যক্রম আমরা বন্ধ করে দিব, অন্যথায় কারখানা বন্ধ থাকবে। আমার পিতা অত্র এলাকায় একজন সম্মানী ব্যক্তিত্ব। চাঁদা দাবী, প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকির মাধ্যমে সমাজে আমার পিতার মান ক্ষুন্ন করতেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে ওই সন্ত্রাসী মহল। এতে আমরা মানসিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। উক্ত ঘটনায় গত ২৭ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আমার পিতা “জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি “র সত্তাধিকারী আলহাজ্ব মোঃ মোজাফফর হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মি।