শ্রীপুরে জমির টাকা না দিয়ে দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ।।।
গাজীপুরের শ্রীপুরে উপসচিব ভাইয়ের শেল্টারে জমি বায়নার টাকা সম্পূর্ণ না দিয়ে জমি জবরদখল চেষ্টাসহ এক ভুক্তভোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে মুস্তফিজ (১৬) নামের একজন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টায় শ্রীপুর উপজেলা ভূমি অফিসের রেকর্ড রুমের সামনে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় মুস্তাফিজসহ বেশ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।ভুক্তভোগী মুস্তাফিজুর রহমান সৈকত উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের লালপুকুরপাড় গ্রামের মৃত আসাদুজ্জামানের সন্তান।
মারধরের নেতৃত্ব দেন প্রধান অভিযুক্ত এমদাদুল হক (৩৮) । তিনি উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের গোদারচালা গ্রামের মৃত মিরাজ উদ্দিনের সন্তান। এ সময় এমদাদুলকে সহায়তা করেন তার খালাতো ভাই কাজলসহ স্থানীয় কয়েকজন।ঘটনার সূত্রপাত ঘটে জমি বিক্রিকে কেন্দ্র করে। জমি বিক্রিতে মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন এমদাদুল হক। গত মে মাসে মৃত আব্দুল আউয়ালের সন্তান মতিন, ফাহাদুজ্জামান এবং সৈকত রহমানসহ ২৬ জনের থেকে মোট ৩৫০ শতাংশ জমি ৩ কোটি টাকা মূল্যে বিক্রি করে দেন এমদাদুল হক। এ সময় জমির বায়না রেজিস্ট্রি ধরা হয় ৬০ লাখ টাকা। বায়না রেজিস্ট্রি করা হয় এমদাদুল হকের নামে। গত কয়েক মাসে এ যাবত পর্যন্ত সাড়ে ১৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেন এমদাদুল। বাকী টাকা চাইলে টালবাহানা করে এ পর্যন্ত সময় পার করেছেন তিনি। ভুক্তভোগী পরিবার যেহেতু যথা সময়ে টাকা পাননি, তাই ওই জমি বাবদ নেয়া সকল টাকা ফেরত দিবেন এবং জমিটি এমদাদুলের মাধ্যমে বিক্রি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এরপর-ই বাঁধে বিপত্তি।তারা আরো বলেন, বায়না রেজিস্ট্রির সম্পূর্ণ টাকা না দিয়েই তারা জমি দখলে নিতে চাচ্ছে। তাই দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে এমদাদুল ও তার সহযোগিরা। এমদাদুলের এসব অপকর্মের পেছনে তার আপন বড় ভাই উপসচিব আমিনুল ইসলামকে শেল্টারদাতা হিসেবে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। তার শেল্টারেই তিনি দীর্ঘদিন যাবত এভাবে মানুষকে ঠকিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। তাই সুস্পষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।অন্যদিকে এমদাদুল হক বলছেন, মুখের কথায় কোনো লাভ নেই, প্রমাণ বা কাগজপত্র কথা বলবে। তারা বায়না রেজিস্ট্রি বাবদ আমার কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিয়েছে। এখন তারা ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করেছে। তাদের বিচার চাই।
এসব বিষয়ে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেন ভুক্তভোগী পক্ষ। এখনও থানার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় থানায় কোনো অভিযোগ জমা নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই অভিযোগ লিখেও জমা দিতে ব্যর্থ হয় ভুক্তভোগী পরিবার। পরে সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীলদের জানানো হলে তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আশ্বাস দিয়ে আসেননি বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার। এমদাদুল হক এবং ভুক্তভোগী পক্ষ আপন মামাতো ভাই। আত্মীয়দের মধ্যে এমন জটিলতার অবসান চেয়েছেন উভয় পক্ষ এবং স্থানীয়রা।