সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে শিক্ষার্থী শিহাব হত্যায় মামলা সাবেক এমপি মমিনসহ ৭০০জন আসামি।।।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে ছাত্র শিহাব নিহতের ঘটনায় স্থানীয় এমপি ও মণ্ডল গ্রুপের এমডি আব্দুল মমিন মণ্ডল ও তার ছোটভাইসহ ৩৩ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৭শ’ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) এনায়েতপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন সন্তোষা গ্রামের সোলায়মান হোসেন। মামলা নং-২।
মমিন মণ্ডল ছাড়াও মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মমিন গ্রুপের পরিচালক আব্দুল আলিম মণ্ডল, এই গ্রুপের আরেক পরিচালক জোবায়ের মণ্ডল, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ, বেলকুচির পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, খামারগ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্লা, খোকসা বাড়ি গ্রামের জয়নাল সরকার, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী বিএসসি, যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, শিবপুরের হাফিজুর রহমান মাস্টার, গোপালপুরের শেখ মনোয়ার হোসেন, বেলকুচির তামাইয়ের হাজী ফজলা রহমান তালুকদার, হাজী শেখ মোহাম্মদ শামীম।
এছাড়া বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, দুপুরে বেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল প্রামানিক, ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, খাস কাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সাঈদ বিদ্যুৎ, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মোল্লা বাবুল আক্তার, খাসপুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দাউদ সরকার।
আসামির তালিকায় আরও যারা রয়েছেন বাগুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কালাম মোল্লা, সোহালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ চুন্নু তালুকদার, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সুবর্ণসারা গ্রামের আব্দুল হাকিম মন্ডল, শেরনগর গ্রামের সেলিম সরকার, দৌলতপুর গ্রামের মোঃ জুয়েল, দৌলতপুর গ্রামের মোঃ মহির আলী, আমি দারিয়াপুর শাহজাদপুরের দারিয়াপুরের মোঃ আলমাস, মুকুন্দগাঁতীর মোহাম্মদ হাবিব, বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রকি।
মামলা উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে ছাত্র জনতার একটি মিছিল এনায়েতপুর হাটের আলহেরা মার্কেটের দিকে আসে। তখন আসামিরা বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায়। এতে মাধবপুর গ্রামের শফি মিয়ার ছেলে কলেজছাত্র শিহাব গুলিতে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি হাসিবুল আলম জানান, হত্যা মামলাটি আমলে নিয়ে এর যথাযথ তদন্ত এবং সকল আসামিদের ধরে আইনের আওতায় আনতে খুব দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।