নওগাঁয় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কর্মরত ভুয়া নার্সদের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ডিপ্লোমা নার্স ও মিডওয়াইফরা। বেলা ১১টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বৈষম্য বিরোধী নার্সেস সোসাইটির উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে অংশ নেয় অন্তত ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় বৈষম্য বিরোধী নার্সেস সোসাইটি নওগাঁর সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন, রেজিস্টার্ড নার্স নাফিসা তাবাসসুম, ডিপ্লোমা নার্স এমরান হোসেন ও নিশাত তাসনিমসহ শহরের সরকারি -বেসরকারি ৩টি ডিপ্লোমা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন শেষে জেলা সিভিল সার্জনের কাছে এ সংক্রান্ত স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। একই সাথে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভুয়া নার্সদের অপসারণে স্বাস্থ্য বিভাগকে আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। তা না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেয় বৈষম্য বিরোধী নার্সেস সোসাইটি।
রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম বলেন, ভুয়া নার্সদের ভুল সেবায় প্রায়ই রোগীদের মৃত্যু হয়। সেই মুহুর্তে রোগীদের স্বজনরা নার্সদের অদক্ষ হিসেবে অপবাদ দেয়। এর আড়ালের গল্প কেউ দেখতে আসে না। বিপরীতে একজন রেজিস্টার্ড নার্সকে দীর্ঘ বছর নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করে এরপর কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে হয়। অথচ ভুয়াদের দাপটে প্রকৃত নার্সরাই এখন কর্মহীন। আমরা এসব ভুয়া নার্সদের অপসারন চাই। নওগাঁ নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এমরান হোসেন বলেন, নওগাঁর হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে ভুয়া নার্সে ভরা। বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে রেজিস্টার্ড নার্স একেবারে নেই বললেই চলে। এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। ভুয়া নার্স নির্মূলে আমরা সবাই এক হয়ে মাঠে নেমেছি। এই সংগ্রাম চলবে।বৈষম্য বিরোধী নার্সেস সোসাইটি নওগাঁর সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন বলেন, ভুয়া নার্সদের দৌরাত্ম এতোটাই বেড়েছে যে এদের কারণে আমাদের টিকে থাকা কঠিন। অল্প বেতনে এসব অদক্ষরা কাজ করে। তাঁদেরকে নার্স হিসেবে দেখিয়ে হাসপাতাল ক্লিনিকগুলো রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। এ ঘটনায় আমরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সিভিল সার্জনকে দেয়া স্বারকলিপিতে স্পষ্টভাবে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে প্রত্যেক ভুয়া নার্সকে সনাক্ত করে তাঁদের অতিসত্বর অপসারন করতে হবে। এ বিষয়ে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা: নজরুল ইসলাম বলেন, যারা নার্স না হয়েও নার্স সেজে কাজ করছেন এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থ্যা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে অভিযুক্তদের অপসারণে ১ সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হবে। আশা করছি প্রকৃত রেজিস্টার্ড নার্সরা শীঘ্রই তাঁদের নায্য অধিকার ফিরে পাবে।