গোপালগঞ্জে সরকারি জায়গা দখল করছে বিএনপির সুবিধাবাদী নেতা।।।
গোপালগঞ্জ জেলার শহর উপকন্ঠে সরকারি জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণ করছে গোপালগঞ্জ জেলার বিএনপি নেতা নামে কথিত এম,এইচ,খান মন্জু । গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে বিএনপির বহু নেতা কর্মীকে দলের টানে মাঠ পর্যায়ে দেখা গেলেও এই নেতাকে কখনোই দেখা যায় নাই। গোপালগঞ্জের নেতৃত্ব স্থানীয় নেতারা মিছিল মিটিং করতে গিয়েও অনেকে বার বার জেল খেটেছে সবই জনসাধরেনের সামনে দৃশ্য মান। কিন্তু এই নেতাকে দেখা গেল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ড. ইউনুস এর আমলে তাও আবার জমি দখলের মাধ্যমে। বিএনপি ক্ষমতায় আসর আগেই সে সরকারি জমি দখল করা আরম্ভ করে দিয়েছে। দলটির চেয়ারম্যান বার বার সারা দেশে তার নেতা কর্মীদের নিষেধ করছে কোন দখলদারি, হানাহানি না করার জন্য। সবকিছু উপেক্ষা করে নিজের সার্থ সিদ্ধি করছে সে। গোপন সূত্রে জানা জায়, তার ভাই ড. মকবুল বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ এর বন্ধু তার নাম ভাঙ্গিয়ে গোপালগঞ্জ প্রশাসন সহ সকল জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে এশকাল কর্মকাণ্ড করছে সে।
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র লঞ্চঘাট এলাকায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে গড়ে উঠেছে ন্যায্যমূল্যে কালেক্টর বাজার। বাজারটিরি বেচাকেনা সহ সকল কর্মসাধন করতো কিছু গরিব সাংবাদিকরা। এই বাজারের হওয়ার ফলে গোপালগঞ্জের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের উপকারের পাশাপাশি বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়েছিল কয়েকটি সাংবাদিক পরিবারের। তার উপর কুনজর পড়েছে এই বিএনপির সুবিধা বাদি নেতার।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, এমএইচ খান মঞ্জুর পালিত কিছু গুন্ডাবাহিনী দাঁড়িয়ে থেকে কালেক্টর বাজারের দুই পাশ দিয়ে দেওয়াল নির্মাণ করছে। কেউ কিছু বলতে গেলে তারা নানা রকম ভয়ের গল্প শুনিয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা সাংবাদিকদের এ একথাও বলছে তোমরা মাইকিং করে বললেও এম এইচ খান মঞ্জুর কিছু হবে না। তার ক্ষমতার কাছে টিকবে না। কীসের এতো ক্ষমতা তার, কার ক্ষমতায় সে এসব করছে, কে তাকে সেল্টার দিচ্ছে, এ ব্যপারে জানতে চায় সাধারণ মানুষ। মানুষের পেটে লাথি মারে এ কেমন নেতা। তার ব্যপারে সাধার মানুষ আরো বলেন, তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ পরিবারের হাত ধরে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে করে বেড়িয়েছে কর্মকাণ্ড। সুধু তাই নয় সে যে সরকার আসে সেই সরকারের ছাতির নিচে অবস্থান করাটা তার পুরানো অভ্যাস। বাংলাদেশের জন্ম লগ্নের পরে দেশের বিভিন্ন দলের সাথে সে তাল মিলিয়ে চলেছে। আজ সে তার ভাই এর নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে। এ ব্যপারে প্রশাসনের দৃষ্টিআকর্ষন করে বলছি এই কালেক্টর বাজারের জায়গাটা আপনারাই দিয়েছেন সরকারি জায়গা হিসাবে। আপনাদের তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত হয়েছে এই বাজার। আপনাদের এই পরিকল্পনায় সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে, বেচে যাচ্ছে কিছু সাংবাদিক পরিবার তাহলে আপনারা কেন এ ব্যপারে গড়িমিসি করছেন। এ ব্যপারে আপনাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।