নাচলে আইনশৃঙ্খলা সভায় ধাওয়া খেয়ে পালালেন আ’লীগের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের ..
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নাচোল উপজেলা শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মত বিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন, পুলিশ সুপার ছায়েদুল হাসান বিপিএম পিপিএম বার, সেনাবাহিনীর সি ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ শান্তনু রাজ চৌধুরী পি এস সি, বিজিবি রহনপুর ৫৯ ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর ইমরুল কায়েস এবং ইউপি চেয়ারম্যান।
বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা দেশে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও নাচোল উপজেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ, বিভিন্ন পেশার মানুষের আন্তরিক হস্তক্ষেপে এ উপজেলায় তেমন কোন ঘটনা ঘটে নাই।
উপজেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে সেনাবাহিনী টহল দেয় সে অনুরোধ জানানো হয়।
বক্তারা আরো বলেন, আপনাদের সেবা দিতে সহসাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থানায় আসবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। আপনাদের এলাকায় কোথাও কোন সমস্যা হলে আপনাদের এলাকার সেনাবাহিনীর টিমকে ফোনে কল করুন।
জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে স্বাভাবিকভাবে সকল দপ্তরের কার্যক্রম শুরু করতে অনুরোধ জানান।
এদিকে সভার শুরুতে আ’লীগের নেতাকর্মীদের উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিতি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে আপত্তি উঠে। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক উপজেলা আ’লীগের সেক্রেটারি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরকে সভা ত্যাগ করার পরামর্শ দিলে।
এ সময় আ’লীগ সেক্রেটারি আব্দুল কাদের, পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা ইয়াসমিন লিপি ও কামাল উদ্দীন প্রশাসনের গাড়ি বহরের সাথে পরিষদের গাড়িতে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বের হলে ছাত্র-জনতা ধাওয়া করে। এ সময় অন্যান্য আলীগের নেতারা দিগ্বিদিক পালিয়ে যায়।
পরে উপজেলা প্রধান ফটকের সামনে ছাত্র জনতার পথসভায় বক্তব্য দেন, বিএনপি নেতা আবু তাহের খোকন, নূর কামাল, দুরুল হুদা, শফিকুল ইসলাম, গোলাম জাকারিয়া, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম, ইয়াকুব আলী। বক্তারা বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, ভাইস চেয়ারম্যান কামালউদ্দিন ও শামীম ইয়াসমিন লিপি, পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খানের অনতিবিলম্বে পদত্যাগের দাবি করেন।