December 10, 2024, 6:26 am
শিরোনামঃ
টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিতন্ডা, ৭ ছাত্রকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা   বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী স্বপন কান্তি বড়ুয়ার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী ১১ ডিসেম্বর মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ ঘোষিত সাংগঠনিক সংলাপ মহানগর সাংগঠনিক সংলাপ অনুষ্ঠিত কিংবদন্তি শিল্পী বাবুল জলদাসের সানাই বাদনে মুগ্ধ দর্শক সাতক্ষীরায় শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা সোনারগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক রাসেল আহত! অটোরিকশা ছিনতাই কালে চালককে হত্যা, কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মিলল মরদেহ বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.)’র ৯৬তম খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহ্ফিল ২১ ডিসেম্বর

দেশ থেকে বন্ধ করতে হবে সকল ধরনের সিন্ডিকেট,চাঁদাবাজি এবং মাসিক চাঁদা।

ডেক্স রিপোর্ট,স্বদেশ টিভি নিউজ

দেশ থেকে বন্ধ করতে হবে সকল ধরনের সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি এবং সরকার প্রদত্ত মাসিক চাঁদা।

আজ আমাদের এই সোনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট। এর মধ্যে রয়েছে বড় বড় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের নাম যা আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি জনগনই জানেন। পণ্য আমদানি থেকে শুরু করে পণ্য গ্রাহকের নিকট হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রতিটি রাস্তায় তাদেরকে গুনতে হয় বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা। আর এ সকল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঐ সকল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ এ সকল আমদানিকৃত পণ্যের ট্রাক এর পথ রোধ করে দেয়। ফলে সঠিক সময়ে পণ্য সামগ্রী বাজারে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, আর এই সুযোগ গ্রহণ করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীগণ, তারা বাজারে পণ্যের ঘাটতি দেখিয়ে মোবাইল কলের মাধ্যমে দেশের  সকল এলাকায় অন্যের বাজার অস্থিতিশীল গড়ে তোলে। বিশেষ করে দেশের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আমাদের দেশের অধিকাংশ পণ্যর কাঁচামাল এর বাজার কে নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে প্রতিটি আরতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচামাল থাকা সত্ত্বেও তারা কৃত্রিমভাবে পণ্য  সংকট তৈরি করে এবং বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে দেয়।

অপরদিকে রয়েছে প্রতি অঞ্চলের স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজির মহড়া, এ সকল চাঁদাবাজের ফলে যে সকল অর্থ খরচ হয় তার প্রতিটি অর্থই উক্ত পণ্যের ক্রেতা বা ভোক্তাদের  নিকট থেকে  নিকট থেকে আদায় করা হয়। ফলে বেড়ে যায় পণ্যের দাম। অপরদিকে রয়েছে ট্রাক স্ট্যান্ডের চাঁদা, ট্রাক পার্কিংয়ের চাঁদা,  বাসস্ট্যান্ডে চাঁদা, রাস্তার চাঁদা প্রতিটি গাড়ির রাস্তা চলাচলের জন্য দিতে হয় পুলিশ প্রশাসন ও রোড এন্ড হাইওয়ে পুলিশকে সহ জেলার জেলা ট্রাফিক কে দিতে হয়  একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের চাঁদা।

যার ফলে একটি পণ্যের দাম ১০ টাকা থাকলে পণ্যটি ভোক্তাদের পর্যন্ত  পৌঁছাতে দাম পড়ে যায় ৪০ টাকারও বেশি। আর এর ফলে আমাদের সাধারণ জনগণকে প্রতিটি পণ্যের মূল্য এই অতিরিক্ত দামে ক্রয় করতে হয়। আর যদি এ সকল চাঁদাবাজের হাত থেকে প্রতিটি যানবাহন ও পরিবহন কে মুক্ত রাখা যায় তবে আমরা সাধারণ জনগণ ১০ টাকার পণ্য টি সাধারণ জনগণের হাত পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে খরচ পড়বে।

অপরদিকে যদি অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটটি ভেঙে দেওয়া যায় তবে সাধারণ জনগণ প্রতিটি পণ্যে ক্রয়ের  সমর্থ্য হইবে।

এছাড়া অপরদিকে রয়েছে প্রতিটি বাস স্ট্যান্ডের একটি নির্দিষ্ট মাসোয়ারার টাকা। সাধারণ জনগণের ভাড়ার টাকা থেকে কর্তন করা হয়। প্রতিটি বাস নির্দিষ্ট স্থান থেকে ছাড়তে গেলে ওই স্থানের অর্থাৎ ওই স্ট্যান্ডের এক শ্রেণীর মালিক সমিতির লোকজন প্রতিটি বাস থেকে নির্দিষ্ট মূল্যের মাসোয়ারা আদায় করে থাকে। শুধুমাত্র একটা স্ট্যান্ড থেকেই নয় উক্ত বাসটি যে কটা জেলার উপর থেকে যায় তার প্রতিটি জেলা মালিক সমিতিকে বাসটির আসা যাওয়ার জন্য প্রতিবারই একটি নির্দিষ্ট মূল্যের মাসোয়ারা গুনতে হয়। আর এ সকল মাসোয়ারা টাকা আদায় করা হয় সাধারণ জনগণের ভাড়ার উপর থেকে।

সুতরাং আমাদের দেশের সকল স্তরের সাধারণ জনগণ যদি এ ব্যাপারে সোচ্চার হয়, অপরদিকে যদি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ব্যাপারটা যদি তাদের নিজস্ব গ্রুপের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা করতে থাকে তবে সকল চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটগুলো খুব সহজে আমরা বন্ধ করতে পারব এবং সাধারণ জনমনে একটি স্বস্তি ফিরে আসবে।

যার ফলশ্রুতিতে দেশের প্রতিটি পণ্যের মূল্য কমে যাবে এবং দেশের প্রতিটি মানুষ স্বল্প দামে প্রতিটি পণ্য ক্রয় করতে পারবে এবং জীবন জীবিকার খরচও কমে যাবে।

 

 

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা