শ্রীপুরের মাওনায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত অর্ধ শতাধিক।
শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও শিক্ষার্থী সংঘর্ষে আহত প্রায় অর্ধশতাধিক।
স্হানীয় এলাকাবাসী জানান (৩ আগস্ট শনিবার) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে মাওনা পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ আশেপাশের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।এ সময় তারা কোটা বৈষম্য আন্দোলনের ডাকে চলমান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা,হত্যা ও ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্লোগান দিতে থাকে।যার ফলে গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি থেকে উপজেলার জয়নাবাজার পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা মাওনা চৌরাস্তার আশেপাশে ও পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে (অবদার মোড়) অবস্থা করে।এ সময় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিত থাকলেও শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিল পুলিশ। দুপুরের দিকে পুনরায় আন্দোলনকারীরা মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের নিচে দুটি পুলিশ বক্সে আগুন লাগিয়ে দেয়। শ্রীপুর রোডে ভাই ভাই কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থানকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট,পাটকেল মারতে থাকে। এসময় ভাই ভাই কমপ্লেক্সের নিচে থাকা পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ।এ সময় পুলিশের সাথে দাওয়া পালটা দাওয়া কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়।
দুপুরের ঘটনায় ১১জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৪ জন মারা গেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেলের দিকে মাওনা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় হাইওয়ে থানায় থাকা পুলিশ সদস্যদের বেশ কিছু সময় অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় পুলিশ শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করছিল। হঠাৎ করে নিরস্ত্র পুলিশের ওপর হামলা করে আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে তারা ভাই ভাই সিটির নিচে রাখা পুলিশের তিনটি গাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। একই সাথে উড়ালসেতুর নিচে হাইওয়ে পুলিশের দুটি বক্সেও আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।