জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দিবাকরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্চাচারিতা, এডহক কমিটি গঠনে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। এঘটনায় প্রধান শিক্ষকের এমন দূর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। রোববার বেলা ১১ টায় দিবাকরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন।
ঘন্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্চাচারিতা ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা। তাদের দাবি, দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আইনুল ইফসি’র দৃষ্টান্তূলক শাস্তিসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দিবাকরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও দিবাকরপুর গ্রামের বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে দিবাকরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের পর থেকে অধ্যবদি চারটি কমিটি গঠন হয়েছে যার একটি মাত্র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছে। আইনুল ইফসি’র আমলে বেশ কয়েকটি নিয়োগে প্রায় ৬২ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে, অথচ প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নয়ন হয়নি। দূর্নীতিবাজ এই প্রধান শিক্ষক বহিরাগত লোককে সভাপতি বানিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেন। তিনি রাতের আধারে গোপনে এডহক কমিটি বানানোর পাঁয়তারা করছেন। আমরা তার বিচার চাই।
রিপন হোসেন নামে আরেক গ্রামবাসী বলেন, দূর্নীতিবাজ এই প্রধান শিক্ষক এখানে যোগদানের পর স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। শিক্ষকেরা নিজেদের মন গড়া সময়ে স্কুলে আসে। ১১ টা ১২ টার দিকেও স্কুলে আসে। স্কুলের পিছনে সিগারেট বিড়ি খাওয়াসহ অনৈতিক কর্মকান্ডের জিনিসপত্র পরে থাকে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, আমরা এলাকাবাসী দূর্নীতিবাজ এই প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতি বন্ধে কোনো ভাবেই পেরে উঠতে পারছিনা। আমরা এলাকাবাসী তাকে বলেছি যে, আপনে বিগত সময়ে যা করার করেছেন এখন নতুন করে সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্য থেকে যে কেউ একজন সভাপতি হোক। আমাদের এলাকার প্রতিষ্ঠান আমরা দেখাশুনা করব।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি বিধি অনুসরন করেই আগামীতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য এডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
পাঁচবিবি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিপিও) মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ এখনো অবগত করেনি, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে