February 10, 2025, 11:36 pm
শিরোনামঃ
তাহিরপুরে নৌকা ঘাটের ইজারা, অনিয়মে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ মানা হচ্ছেনা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা বগুড়ার ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জে শেষ হল শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার মানববন্ধনে বক্তারা – নৌ-পথে ডাকাতি প্রতিরোধে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপই কার্যকর হচ্ছে না কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত রেখার মসজিদের সামনে বিএসএফ’র সিসি ক্যামেরা চৌমুহনীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ৫০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার পাঁচবিবিতে এক বোবা নারীর আর্তনাদ: থাকার মতো ঘর নেই, সরকারি সাহায্যও মেলেনি। বন্দরে আলোচিত সেই এসআই সাইফুলের বিরুদ্ধে আইজিপি বরাবর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ  ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যার দায়ে প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদণ্ড….

১২ হাজার বেতন হলেও ১২ কোটি টাকার মালিক শাহাদাত!

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার শাহাদত হোসেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কাদিরগাছা এলাকার বাসিন্দা। এলাকাবাসী তাকে শখেন নামেই চেনেন। জানা যায়, শাহাদত হোসেন নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত। বেতন পায় ১২ হাজার টাকা। এই বেতনের চাকরি করে ঢাকার মিরপুরে করেছেন বাড়ি। এছাড়াও নিজ গ্রামে তিন বিঘা ফলের বাগান, পাঁচ বিঘা জমি এবং সিংড়া উপশহরে ও সর্দার পাড়ায় কিনেছেন আট শতাংশ জমি। যার আনুমানিক বাজারমূল্য হবে প্রায় ১২ কোটি টাকার বেশি।
তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘একজন নিরাপত্তা প্রহরী ১২ হাজার টাকা বেতন পান। এই বেতনের চাকরি করে কীভাবে ১০-১২ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন? খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সম্প্রতি তিনি মেয়েকে পাসপোর্ট অফিসে চাকরি দিয়েছেন। শাহাদাতসহ যারা জাতিকে মেধা শূন্য করতে প্রশ্নফাঁসের মতো জঘন্যতম কাজ করেছেন তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
গতকাল ১২ জুলাই সরেজমিনে শাহাদাতের গ্রামের বাড়িতে যান একটি টিম। তবে সেখানে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। কথা হয় শাহাদাত হোসেনের খালাতো ভাই হানিফ আলীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘ভাই ও তার পরিবারের কেউ এখানে থাকেন না। তারা ঢাকার মিরপুরে নিজস্ব বাড়িতে থাকেন। শুধু ঈদের সময় বাড়িতে আসেন। গ্রামে তাদের বাড়িঘর ও ফলের বাগান আমি দেখাশুনা করি।
কাদিরগাছা এলাকার বাসিন্দা সোবহান বলেন, ‘২০০২ সালের দিকে এই এলাকার সাবেক সচিব মখলেছুর রহমান শাহাদতকে চাকরি দিয়েছিলেন। তবে কী চাকরি তা প্রতিবেশীরা জানতেন না। তবে কারও টাকার দরকার হলে শাহাদতের কাছে চাইলেই পেতেন।’
রাহেলা নামে আরেকজন বলেন, ‘ঈদের মধ্যে শাহাদত বাড়িতে এলে গরিব মানুষদের সহযোগিতা করতেন।’
প্রতিবেশী রেজাউল বলেন ,‘শখেন ভাই খুব ভালো মানুষ। এলাকায় আসলে আমাদের সঙ্গেই চলাফেরা করতেন। সম্প্রতি আমাদের চার বিঘা জমি কিনেছেন তিনি।’
আরেক প্রতিবেশী জামাল উদ্দিন বলেন, ‘শাহাদাত হোসেনকে ভালো মানুষ হিসেবে জানতাম। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে তিনি জড়িত জেনে খারাপ লাগছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা