ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জেরে লোহাগড়া উপজেলার বালু ব্যবসায়ী জসিম গং এর সন্ত্রাসী বাহিনী হেলাল শেখ (৪২) উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১০ জুলাই বুূধবার একই উপজেলা টগরবন্দ ইউনিয়নে পানাইল দক্ষিণ পাড়া কেরামতের বালুর চাতাল সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হেলাল।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর বাবা জাহাঙ্গীর শেখ বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সরজমিন ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়,হেলাল শেখ জাহাজ ট্যাংকার শ্রমিক গত ১০ জুলাই বেলা ১২ টার দিকে বাড়িতে আসে।বিকালে ৫ টার দিকে বন্ধু নয়নকে নিয়ে বকজুড়ি ঘাটে ঘুরতে যায়।ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিত ঔৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী বালু ব্যবসায়ী জসিম গং হাতে দেশীয় অস্ত্র সহ হামলা শিকার হয়। তার শোর চিৎকারে পার্শ্ববর্তীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।আরো জানা যায় তিন মাস আগে হেলালের ছোট ভাই জিহাদ ও জসিমের ছোট ভাই নাসির এর কাছে টাকা ধার পেত।বিভিন্ন সময় টাকা চাওয়া নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় একদিন নাসির সন্ধ্যার দিকে টাকা পরিশোধ করার কথা বলে বকজুড়ি ঘাটের ডেকে নিয়ে একই কায়দায় জিহাদের উপর হামলা চালায়।জসিম মীমাংসা করার জন্য পানাইল বাজারে সালিশি বসলে মীমাংসা না হয়ে পরবর্তীতে মামলা হয়।তার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়।
থানায় অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর শেখ বলেন,নদীর ওপাড়ে লোহাগড়া থানা চর আড়িয়ারা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন লাঠিয়াল ও দাঙ্গাবাজ। মামলা,হামলা, ঘর বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ নিত্যদিনে সাথী।প্রায় প্রায় খুন হয়ে থাকে ঐ সব এলাকায়। ওরা নদী ভাংগনের পরে আমাদের পাশে লোহাগড়া শেষ সীমানা আদর্শ গ্রামে এসে বসবাস করছে। ঔই বাহিনী আমাদের এলাকায় মদ,গাজা,ইয়াবাসহ নেশার অভয় আশ্রম করেছে। প্রতিবাদ করলে ওদের সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী এভাবে সকলে উপর হামলা চালায়।
বালু ব্যবসায়ী জসিম সত্যতা স্বীকার করে বলেন,জিহাদের সাথে আমার ছোট ভাইয়ের (নাসির) তাসখেলার একটা টাকা নিয়ে ঝামেলা ছিল, পানাইল বাজার গিয়ে মিমাংশা করতে গিয়ে ফেরার পথে আমাকে মেরে রাস্তার খাদে ফেলে রাখে।তার জেরে ছোট ভাই বেরাদার ওর (জিহাদ) বড় ভাইকে কয়েকটা চর থাপ্পড় মেরেছে।
আলফাডাঙ্গা থানার এস আই বিনয় বাড়ৈয় বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। মামলা রেকড করে, আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।