January 14, 2025, 8:08 pm
শিরোনামঃ
MRM Forces Security Service LTD কোম্পানী পরিদর্শন ও সৌজন্যে সাক্ষাতে চাইনিজ জুবাংহু ফরিদ মিয়া মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মনোনীত হওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ময়মনসিংহে বিপুল পরিমান নকল ভ্যাটেরিনারি ওষুধ উদ্ধার । রাউজানে বীর মুক্তিযোদ্ধা অনাথবন্ধু স্মরণে সংঘদান ও স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত মুকুন্দগাতি বাজার বণিক সমবায় সমিতির নির্বাচনে সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া নির্বাচিত। নিখোঁজ সংবাদ দেশবাসী ও প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার আবেদন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ২৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে প্রশাসনিক কমিটি গঠন সংক্রান্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। চট্টগ্রামে সিডিএ নিউ হকার্স মার্কেট সমিতির কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়নে অবহিতকরণ সভা

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু জাতিসত্তাদের কোটা বহালের দাবি পিসিপির

এস চাঙমা সত্যজিৎ স্টাফ রিপোর্টারঃ

২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের আগ পর্যন্ত দেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের জন্য বরাদ্দ ৫% কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত ও পাহাড়ে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী ছাত্র সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই ২০২৪) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত দাবি জানিয়ে বলেন, বৃহত্তর বাঙালি জাতির সাথে সমানভাবে বিকাশ লাভের জন্য দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনগ্রসর সংখ্যালঘুদের জন্য আরও দীর্ঘ সময় ধরে কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও চীনসহ বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু জাতি ও অনগ্রসর অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য এখনও কোটা ব্যবস্থা চালু রয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের এফারমেটিভ একশন ছাড়া দেশকে সার্বিকভাবে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

এছাড়া অনগ্রসর জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ও সু-বঞ্চিত শ্রেণীর (কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর ইত্যাদি) জন্যও কোটা চালু বা পুনর্বহালের প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা অবিবেচক ছিলেন না, তারা কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়েছিলেন এবং সংখ্যালঘু জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ কোটা বাতিল কিংবা সংস্কার কোনটাই চাননি। কিন্তু সরকার অন্য কারোর মতামত না নিয়ে দেশের পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে দেয়, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত ও বাস্তবসম্মত ছিল না।’

পিসিপি নেতৃদ্বয় সরকারের অতীতের উক্ত ভুল সিদ্ধান্ত সংশোধন করে অবিলম্বে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু জাতির শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ৫% কোটা পুনর্বহাল করা এখন জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং বলেন পাহাড় ও সমতলের ছাত্র সমাজের দাবিও হলো তাই।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পিসিপির নেতৃদ্বয়, পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের নিজ স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে যুক্ত হতে আহ্বান জানিয়েছেন।

দেশের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে পিসিপির নেতারা বলেন, সরকারের উচিত আন্দোলনকারীদের দাবি গভীরভাবে বিবেচনায় নেয়া এবং সমাধানে পৌঁছার জন্য এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও যোগ্যতম ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা, যার কাজ হবে পুরো কোটা ব্যবস্থা সম্পর্কে অধ্যয়ন ও গবেষণা করে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করা। তা না হলে কোটা নিয়ে পাল্টাপাল্টি দাবি, আদালতের রায় ও আন্দোলনের ঘূর্ণিপাকে পড়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে।

এস চাঙমা সত্যজিৎ
স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক স্বদেশের খবর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা