আনোয়ারায় চাতুরী চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন পিএবি সড়কের টানেল মুখে কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিক সমবায় সমিতির নামে টোকেন বাণিজ্য করে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
প্রতিদিন প্রতিটি কার ও মাইক্রোবাস হতে প্রতিবার সিরিয়াল পেতে দিতে হয় ৫০ টাকা। প্রতিটি গাড়ী দৈনিক চার-পাঁচ বার টানেলে আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা সী – বীচ এপার ওপার আসা যাওয়া করেছে জীপ কার,বাস,মাইক্রো বাস সহ গাড়ি।অনুমান করা যায়। দৈনিক ৫-১০ হাজার টাকা চাঁদা উঠে। এ ঘটনা ঘটে প্রতি নিয়ত। জানা যায় এ চাঁদা রশিদ কাটে।দুই জন ব্যাক্তি তুলে তাদের নাম জানা যায়।অভি ও সানি নামের জন
সমিতিতে ভর্তি হতে প্রথমে সাধারণ সম্পাদককে দিতে হয় ১১০০ টাকা। প্রতিমাসে দিতে হয় ১০০টাকা। সমিতিতে এই পর্যন্ত মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫০জন। তাদের ভর্তি টাকা উঠেছে অনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার ও বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক জানান, গাড়ির যাবতীয় কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও সমিতির মাসিক টোকেন কিনতে হয়। না হলে পরতে হয় নানার হয়রানিতে। মাসে লাখ লাখ টাকা কোথায় যায় তা চালকরা জানেন না।
এ ব্যাপারে কার ও মাইক্রোবাসের সাধারণ সম্পাদক মো: দিদারুল আলম ও সভাপতি মো: এসকান্দর জানান, টাকাগুলো সমিতির একাউন্টে জমা হয়। যারা দায়িত্ব পালন করে তাদের বেতন ভাতা ও খাওয়া দাওয়া বাবদ খরচ করে বাকী টাকা সমিতির একাউন্টে জমা দেয়।
ভুক্তভোগী চালকরা জানান, এই টাকা কোন একাউন্টে যায়, কত খরচ হয়, কেউ জানে না। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুটি কয়েকজন মিলে খাচ্ছে। কেউ জমাকৃত টাকা ফেরত পেয়েছে এই রকম কোনে নজির নেই।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের টি আই হাফিজুর রহমানের কাছে সড়ক থেকে এভাবে টাকা তুলার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক থেকে সমিতির নামে চাঁদা তুলার কোন নিয়ম নেই। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা শতভাগ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেন।