জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কলেজ শিক্ষক আলী হাসান বাবু হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২য় আদালতের সরকারি সহকারী কৌশলী উদয় সিং।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আসাদুল, মজিবর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল হান্নান, আনিছুর, কালাম, খায়রুল, বাবু, সোহেল, মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল। এর মধ্যে মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আবুল কাশেম মণ্ডলের ছেলে আলী হাসান বাবু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শহরগাছি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি পাইকরদরিয়া গ্রামে বিভিন্ন স্টকের ব্যবসা করতেন। ২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কাঁকড়া ব্রিজের কাছে ব্যবসার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আসামিরা আলী হাসান বাবুকে গলায় পাটের রশি পেঁচিয়ে ও অস্ত্র দিয়ে জখম করে হত্যা করে লাশ নদীর মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবু বক্কর বাদী হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন। উপজেলা প্রতিনিধি)
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কলেজ শিক্ষক আলী হাসান বাবু হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২য় আদালতের সরকারি সহকারী কৌশলী উদয় সিং।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আসাদুল, মজিবর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল হান্নান, আনিছুর, কালাম, খায়রুল, বাবু, সোহেল, মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল। এর মধ্যে মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আবুল কাশেম মণ্ডলের ছেলে আলী হাসান বাবু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শহরগাছি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি পাইকরদরিয়া গ্রামে বিভিন্ন স্টকের ব্যবসা করতেন। ২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কাঁকড়া ব্রিজের কাছে ব্যবসার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আসামিরা আলী হাসান বাবুকে গলায় পাটের রশি পেঁচিয়ে ও অস্ত্র দিয়ে জখম করে হত্যা করে লাশ নদীর মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবু বক্কর বাদী হয়ে পরের দিন পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।