আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক-৭।
বাঘায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুন) দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
জানা যায়, গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলার সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী সমর্থকরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কতিপয় ব্যক্তি দলিল লেখক সমিতির নামে ক্রেতার কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
অপর দিকে একই দিনে সকাল সাড়ে ১০টার বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধনের ডাক দেয় বাঘা উপজেলা আওামীলীগ। উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা উপজেলা চত্বরে জড়ো হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ সহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান (পিন্টু) বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২শ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান এবং গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই মেয়র আক্কাস ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু সহ তাদের অনুসারীরা রয়েছে গ্রেফতার আতংকে। তবে অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে নিরাপদ স্থানে সরে গেছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মামলায় মেরাজ সহ ৭জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।